ইইউর পুরস্কার নিতে মাহসা আমিনির পরিবারকে ফ্রান্সে যেতে বাধা

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন
মাহসা আমিনির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার ছবি নিয়ে রাজপথে প্রতিবাদকারীরা। ছবি এএফপি

ইইউর পুরস্কার নিতে মাহসা আমিনির পরিবারকে ফ্রান্সে যেতে বাধা

ইরানের কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনিকে মরণোত্তর মানবাধিকার পুরস্কারে ভূষিত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। কিন্তু ফ্রান্সে গিয়ে সেই শাখারভ পুরস্কার গ্রহণের জন্য ইরান ত্যাগ করতে পারছে না মাহসা আমিনির পরিবার। শনিবার মাহসা আমিনির পরিবার ও আইনজীবীর বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

সঠিকভাবে হিজাব না করায় মাহসা আমিনিকে কারাগারে ধরে নিয়ে গিয়েছিল ইরানের নৈতিকতা পুলিশ। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে পোশাকের বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের অভিযোগে পুলিশি হেফাজতে বন্দী অবস্থায় গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তার মৃত্যুতে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে ইরানে। বেশ কয়েকটি দেশেও পুলিশি হেফাজতে তার মৃত্যুর ব্যাপারে রাস্তায় নেমে আসে বহু বিক্ষোভকারী।

ইইউর পুরস্কার নিতে মাহসা আমিনির পরিবারকে ফ্রান্সে যেতে বাধা
পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু হয় মাহসা আমিনির । ফাইল ছবি

মাহসা আমিনির পরিবার দাবি করে আসছে যে, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। উল্টোদিকে ইরানি কর্তৃপক্ষের দাবি, অনির্ণেয় কোনো অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয়েছে তার।

গত অক্টোবরে অধিকার বিষয়ক সর্বোচ্চ সম্মান শাখারভ পুরস্কারে মাহসা আমিনিকে ভূষিত করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। মানবাধিকার ও চিন্তার স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখার জন্য যারা উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন তাদের দেওয়া হয় এই পুরস্কার। কিন্তু এই পুরস্কার নিতে ইরান ত্যাগ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন তার পরিবার।

আজ শনিবার ফ্রান্সে তার পরিবারের আইনজীবী চিরিন আরদাকানি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন যে, আমিনির বাবা-মা এবং ভাইকে সাখারভ পুরস্কার গ্রহণের জন্য ফ্রান্সের বিমানে ওঠার অনুমতি দেওয়া হয়নি। বৈধ ভিসা থাকা সত্ত্বেও আমিনির পরিবারকে ইরান ত্যাগ করতে দেওয়া হচ্ছে না এবং তাদের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

আরদাকানি আরও বলেন, ইরানি কর্তৃপক্ষ এর আগে কখনোই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কোনো নিহতের পরিবারের কথা বলা ঠেকাতে এতটা সক্রিয় হয়নি।

ইইউর পুরস্কার নিতে মাহসা আমিনির পরিবারকে ফ্রান্সে যেতে বাধা
মাহসা আমিনির মৃত্যুতে ইরানে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। ফাইল ছবি

মাহসা আমিনির মৃত্যুতে ইরানে ব্যাপক বিক্ষোভের সূত্রপাত ঘটে। ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’ নামে বিশ্বব্যাপী একটি আন্দোলনও গড়ে উঠেছিল এর ধারাবাহিকতায়। ইরানের নারীদের মাথায় স্কার্ফ চাপিয়ে দেওয়া এবং তেহরানের মুসলিম ধর্মগুরুর নেতৃত্বাধীন সরকারের অবসান চেয়ে গড়ে উঠেছিল এই আন্দোলন।

ইইউর পুরস্কার নিতে মাহসা আমিনির পরিবারকে ফ্রান্সে যেতে বাধা
বিক্ষোভ সরকার বিরোধী বিক্ষোভে রুপ নেয়। ফাইল ছবি

শত শত আন্দোলনকারীকে হত্যা এবং কয়েক ডজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে এই বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী। এখনো বিশ্বের অনেক দেশেই আন্দোলনটি হচ্ছে। সেখানে বিক্ষোভকারীদের মিছিলে দেখতে পাওয়া যায় মাহসা আমিনির ছবি।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!