ভয়ঙ্কর ক্ষুধা সংকটের মুখে গাজা: জাতিসংঘ

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন
ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। ছবি রয়টার্স

ভয়ঙ্কর ক্ষুধা সংকটের মুখে গাজা: জাতিসংঘ

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে আবার লড়াই শুরু হয়েছে। এতে করে অঞ্চলটি ভয়ঙ্কর ক্ষুধা সংকটে পড়বে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি।

যদিও গাজায় সাতদিন ধরে যুদ্ধবিরতি ছিল। তখন গাজায় কিছু ত্রাণসামগ্রী ঢুকেছে। তা বিতরণ করার নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে। কিছু মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভবও হয়েছে।

গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত
দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ধ্বংস হওয়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের পাশে বসে আছে ফিলিস্তিনি শিশু। ছবি সংগৃহীত

কিন্তু ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, ‘দুঃখের বিষয় হলো, এই বিষয়ে যতটা এগোনো জরুরি ছিল, তা হয়নি।’

সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘নতুন করে লড়াই শুরু হওয়ার ফলে ত্রাণ বিতরণ করা যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে কর্মীদের জীবন বিপন্ন হতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, এর ফলে বেসামরিক সাধারণ মানুষ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন। গাজায় ২০ লাখ মানুষের বেঁচে থাকার সম্বল হলো এই ত্রাণের খাদ্যশস্য।’

ডব্লিউএফপি বলছে, ‘আমাদের কর্মীদের জন্য গাজা ভূখণ্ডে নিরাপদ, বাধাহীন ও দীর্ঘকালীন যাতায়াতের ব্যবস্থা চাই। তাহলেই তারা মানুষের কাছে জীবনদায়ী ত্রাণ পৌঁছে দিতে পারবে। একমাত্র দীর্ঘস্থায়ী শান্তি হলেই এই মানবিক বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব। ডব্লিউএফপি তাই দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি এবং সমস্যার একটি রাজনৈতিক সমাধান চায়।’

এদিকে গাজা থেকে যারা মুক্তি পেয়েছেন এবং যারা এখনও হামাসের হাতে বন্দি, তাদের ও তাদের পরিবারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। গত দুই মাসের মধ্যে এটিই প্রথম বৈঠক। এই বৈঠকে যথেষ্ট উত্তজনা ছিল।

ভয়ঙ্কর ক্ষুধা সংকটের মুখে গাজা: জাতিসংঘ
ধ্বংসস্তূপ থেকে বের হয়ে আসছেন এক ফিলিস্তিনি তরুন। ছবি রয়টার্স

নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ‘আমি এমন কাহিনী শুনেছি, যাতে আমার মন ভেঙে গেছে। আমি ক্ষুধা ও তৃষ্ণার, শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের কাহিনী শুনেছি। যৌন নির্যাতন ও ভয়ঙ্কর ধর্ষণের কথাও শুনেছি। মুক্তি পওয়া বন্দিরা এই কাহিনী শুনিয়েছেন।’

ইসরায়েলের মিডিয়া জানিয়েছে, এই বৈঠকে যথেষ্ট উত্তেজনা ছিল এবং শেষের দিকে প্রায় অর্ধেক মানুষ বৈঠক ছেড়ে চলে যান।

দানি মিরানের মেয়ে এখনও হামাসের হাতে বন্দি। তিনি ইসরায়েলের টেলিভিশনে বলেছেন, ‘বৈঠকে কী হয়েছে তা আমি বিস্তারিত বলব না। শুধু এইটুকু জানাব, পুরোটা ছিল কুৎসিত, অপমানকর এবং অগোছালো।’

তিনি বলেছেন, ‘সরকার দাবি করছে, তারাই সবকিছু করেছে। কিন্তু হামাস নেতা ইহাইয়া সিনওয়ার আসলে আমাদের মানুষদের ফেরত দিয়েছেন। যখন সরকার দাবি করছে, তাদের নির্দেশে সবকিছু হয়েছে, তখন আমরা রাগ সামলাতে পারিনি। ওরা একটাও নির্দেশ দিতে পারেনি।’

ভয়ঙ্কর ক্ষুধা সংকটের মুখে গাজা: জাতিসংঘ
গাজায় একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের পাশ দিয়ে রুটি বহনকারী একটি ছেলে হাঁটছে। ছবি এপি

জেনিফারের পার্টনার অ্যান্ড্রে এখনও বন্দি। তিনি জানিয়েছেন, ‘বৈঠক ছিল রীতিমতো উত্তেজক। অনেকেই সেখানে চিৎকার করেছেন।’

অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল আক্রমণ করে হামাস ভয়ঙ্কর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। বিশ্ব এটাকে উপেক্ষা করতে পারে না। সব সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ীদের এই যৌন নির্যাতনের নিন্দা করতে হবে।’

তার দাবি, ‘হামাস ইসরায়েলের মেয়েদের ওপর অত্যাচার করেছে, তারপর হত্যা করেছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। যারা বেঁচে ফিরেছেন, তারা এই ভয়ঙ্কর কাহিনী আমাদের জানাচ্ছেন।’

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!