শরণার্থী নীতি নিয়ে মতভেদের কারণে নেদারল্যান্ডসে সরকার পতন

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন
পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানাচ্ছেন ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রাটা, ৭ জুলাই ২০২৩। ছবি ইপিএ

শরণার্থী নীতি নিয়ে মতভেদের কারণে নেদারল্যান্ডসে সরকার পতন

শরণার্থী বিষয়ক নীতি নিয়ে মতভেদের কারণে তার কোয়ালিশন সরকার ভেঙ্গে গেছে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রাটা। কোয়ালিশন সরকারের চারটি শরিক দল স্পর্শকাতর এই ইস্যুতে একমত হতে পারেনি।

দেড় বছর আগে এই কোয়ালিশন সরকার গঠিত হলেও অভিবাসন এবং শরণার্থী ইস্যুতে বেশ কিছুদিন ধরেই জোটের মধ্যে মতভেদ চলছে।

স্থানীয় মিডিয়ার খবরে বলা হচ্ছে নভেম্বর নতুন নির্বাচন হতে পারে।

মার্ক রাটার রক্ষণশীল ভিভিডি দল রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীর সংখ্যা কমাতে চাইছে। কিন্তু তার কোয়ালিশনের অন্তত দুটো শরিক দল তাতে সায় দিচ্ছে না।

শুক্রবার মন্ত্রিসভার এক জরুরি সভায় কোনো ঐক্যমত্যে না হলে সরকার ভেঙ্গে যাওয়ার ঘোষণা দেন ডাচ প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন আজ (শনিবার) রাজা উইলেম-আলেকজান্ডারের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র পেশ করবেন। তবে নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান মন্ত্রিসভা তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসাবে দায়িত্ব পালন করবে।

শরণার্থী নীতি নিয়ে মতভেদের কারণে নেদারল্যান্ডসে সরকার পতন
নেদারল্যান্ডসের ইসলাম এবং অভিবাসন বিরোধী রাজনীতিক গ্রিট উইলডারস্। তার দল পিভিবির মত কট্টর ডানপন্থী দলগুলোর উত্থানের কারণে অভিবাসন ইস্যুতে সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে।

নেদারল্যান্ডসে গত বছর রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে অবেদনের সংখ্যা এক তৃতীয়াংশ বেড়ে ৪৭,০০০ ছাড়িয়ে গেছে। এ বছর এই সংখ্যা ৭০ হাজারে পৌঁছবে বলে সরকার ধারণা করছে।

এ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী রাটা প্রস্তাব করেন যুদ্ধে বিধ্বস্ত এবং যুদ্ধাক্রান্ত দেশগুলো থেকে আসা শরণার্থীদের পরিবারের সদস্যদের নেদারল্যান্ডসে আসার ওপর তিনি কোটা আরোপ করতে চান। তিনি প্রস্তাব দেন প্রতি মাসে দুশ’র বেশি স্বজনকে আসার অনুমতি দেওয়া হবে না।

কিন্তু তার কোয়ালিশনের ছোটো শরিক দল ক্রিস্টিয়ান ইউনিয়ন এবং উদারপন্থী ডি৬৬ তার এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে।

তার সরকারের পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার সময় মার্ক রাটা বলেন, “এই সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য খুবই কঠিন।“ তিনি বলেন, শরিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যমত্যে পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মি. রাটা ২০১০ সাল থেকে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী। এর আগে এতদিন ধরে কেউই সেদেশে ক্ষমতায় ছিলেন না। গত বছর জানুয়ারিতে চতুর্থ বারের মত তার কোয়ালিশন সরকার ক্ষমতা নেয়।

মুসলিম বিদ্বেষী রাজনীতিক গ্রিট উইলডারসের দল পিভিবির মত কট্টরপন্থী দলগুলোর উত্থানের কারণে অভিবাসন ইস্যুতে তার ওপর চাপ বাড়ছে।

মার্চে ডাচ সংসদের উচ্চ-কক্ষের নির্বাচনে জিতে বিস্ময় তৈরি করা দল ফার্মার্স-সিটিজেন মুভমেন্ট (বিবিবি) বলেছে আগামীতে মি. রাটার নেতৃত্বে কোনো কোয়ালিশন সরকারে তারা যোগ দেবে না।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!