আফগানিস্তানে বিউটি পার্লার বন্ধের নির্দেশ
আফগানিস্তানের তালেবান প্রশাসন এক মাসের মধ্যে সব বিউটি পার্লার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বলে দেশটির নৈতিকতা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মঙ্গলবার দেশটির ‘পাপ প্রতিরোধ ও পুণ্য প্রচার’ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাদিক আকিফ মন্ত্রণালয়টির এক নোটিশের উল্লেখ করে বলেছেন, “নারীদের বিউটি পার্লার বন্ধের সময়সীমা এক মাস।”
২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনাদের প্রত্যাহারের পর দেশটির যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকারকে পরাজিত করে ফের ক্ষমতায় আসে তালেবান। তারপর থেকে জনসমাগমস্থলে আফগান নারীদের গমন নিয়ন্ত্রণের সর্বশেষ পদক্ষেপ এটি। নারীদের ওপর আরোপ করা ক্রমবর্ধমান এসব বিধিনিষেধের নিন্দা করেছে বেশ কয়েকটি সরকার ও জাতিসংঘ কর্মকর্তারা।
গত বছর তালেবান কর্তৃপক্ষ মেয়েদের অধিকাংশ হাইস্কুল বন্ধ করে দিয়েছে, নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া নিষিদ্ধ করেছে এবং বহু আফগান নারী ত্রাণ কর্মীর কাজ করা বন্ধ রেখেছে। ইতোমধ্যে পার্ক ও জিমসহ বহু জনসমাগমস্থলে নারীদের উপস্থিতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
২০০১ এর ১১ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে টুইন টাওয়ারে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক অভিযানে তালেবান ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল। তারপর থেকে কাবুল ও আফগানিস্তানের অন্যান্য শহরে বিউটি পার্লারের বিস্তার ঘটেছিল।
দুই বছর আগে কট্টরপন্থি গোষ্ঠী তালেবান ফের ক্ষমতায় আসার পরও এর অনেকগুলো খোলা ছিল। কিন্তু এসব পার্লারের সাইনবোর্ড ও জানালাগুলো ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। এসব পার্লারগুলোতে অনেক নারী কর্মী কাজ করতেন এবং বহু নারী তাদের সেবাও নিতে আসতেন।
নারীদের ওপর এসব বিধিনিষেধ তালেবান প্রশাসনের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির সম্ভাব্য অগ্রগতি ব্যাহত করছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে পশ্চিমা সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।
কিন্তু তালেবান প্রশাসনের বক্তব্য হচ্ছে, তারা ইসলামিক আইন ও আফগান প্রথা অনুসারে নারীর অধিকারকে সম্মান করে।