রাশিয় ইউক্রেন যুদ্ধ: যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বান চীনের
যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেন যুদ্ধবিষয়ক চীনের বিশেষ দূত লি হুই। অস্ত্র দেওয়ার বদলে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোকে শান্তি আলোচনায় বসার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
রুশ সেনাদের প্রতিহতে ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলো ক্ষেপণাস্ত্র, ট্যাংক এবং অন্যান্য অস্ত্র সরবরাহ বাড়িয়ে দেওয়ার পর এমন আহ্বান আসল চীনের পক্ষ থেকে।
![রাশিয় ইউক্রেন যুদ্ধ: যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বান চীনের 38 রাশিয় ইউক্রেন যুদ্ধ: যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বান চীনের](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2023/06/uk-8.jpg)
আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন সংকট দূর করতে চেষ্টা চালাচ্ছে বেইজিং। এর অংশ হিসেবে ইউক্রেন যুদ্ধবিষয়ক বিশেষ দূত লি ১২ দিন ইউরোপের বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন।
শুক্রবার (২ জুন) লি হুই এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, ‘চীন বিশ্বাস করে যদি আমরা সত্যিই এ যুদ্ধ বন্ধ করতে চাই, জীবন বাঁচাতে চাই এবং শান্তি চাই, যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার বিষয়টি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অন্যথায় উত্তেজনা শুধু বাড়তেই থাকবে।’
এদিকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রসহ ৩২টি দেশ ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়েছে। বলা হচ্ছে, দখলকৃত অঞ্চলগুলো থেকে রুশ সেনাদের হটিয়ে দিতে পাল্টা আক্রমণ শুরু করবে ইউক্রেনীয় সেনারা। আর এই সম্ভাব্য পাল্টা আক্রমণের আগে কিয়েভে অস্ত্র সরবরাহ বাড়িয়ে দিয়েছে মিত্র দেশগুলো।
![রাশিয় ইউক্রেন যুদ্ধ: যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বান চীনের 39 রাশিয় ইউক্রেন যুদ্ধ: যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বান চীনের](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2023/06/uk-5.jpg)
চীনের দূত লির নেতৃত্বাধীন দলের প্রথম ইউরোপ সফরে খুব বেশি সাফল্য পাওয়া যায়নি। এ কারণে দেশটি আরেকবার তাদের প্রতিনিধিদের ইউরোপে পাঠানোর চিন্তা-ভাবনা করছে।
লি এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘আমরা বুঝতে পেরেছি রাশিয়া এবং ইউক্রেনের অবস্থানের মধ্যে বড় পার্থক্য রয়েছে।’
![রাশিয় ইউক্রেন যুদ্ধ: যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বান চীনের 40 রাশিয় ইউক্রেন যুদ্ধ: যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বান চীনের](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2023/05/uk-2-2.jpg)
লির নেতৃত্বে চীনের প্রতিনিধি দলটি ১২ দিনে ইউক্রেন, পোল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, বেলজিয়াম এবং রাশিয়া সফর করে। তাদের লক্ষ্য ছিল ইউক্রেন সংকটের একটি সমাধান খুঁজে বের করা।
সূত্র: আল জাজিরা