চলমান উত্তেজনার মধ্যে তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ
বেইজিং-তাইপে উত্তেজনাকে আরও উসকে দিলো যুক্তরাষ্ট্র। তাইওয়ান প্রণালীতে রওনা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ। যদিও এ যাত্রাকে নিয়মিত ঘটনা বলে বর্ণনা করেছে ওয়াশিংটন। তাইওয়ান ঘিরে চীনের সামরিক মহড়ার কয়দিন পরই অঞ্চলটিতে যুদ্ধজাহাজ পাঠালো বাইডেন প্রশাসন।
এক বিবৃতিতে সোমবার মার্কিন নৌবাহিনীর ৭ম নৌবহর জানায়, আর্লে বার্ক শ্রেণির গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস মিলিয়াস রবিবার তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে যাত্রা করেছে।
![চলমান উত্তেজনার মধ্যে তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ 38 চলমান উত্তেজনার মধ্যে তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2023/04/chin-jahaj-1.jpg)
এতে আরও বলা হয়, নিয়মিত টলের অংশ হিসেবে এ যাত্রা করছে যুদ্ধজাহাজটি। এতে আন্তর্জাতিক আইনের কোনও লঙ্ঘন হচ্ছে না।
এ ঘটনায় চীনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তাইওয়ানকে তার নিজস্ব অঞ্চল হিসেবে দেখে বেইজিং। গত সোমবার তাইওয়ানের চারপাশে তিন দিনের মহড়া শেষ করেছে চীন। আসলে দ্বীপটিকে নির্ভুলভাবে আক্রমণ এবং অবরোধ করার প্রস্তুতি ছিল এটি।
যুক্তরাষ্ট্রে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থির সঙ্গে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের বৈঠকের প্রতিক্রিয়ায় এ মহড়ার আয়োজন করেছে চীন। এ বৈঠককে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বলছে বেইজিং।
প্রতি মাসে অন্তত একবার তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ চলাচল করে। গত সপ্তাহে ইউএসএস মিলিয়াস দক্ষিণ চীন সাগরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চীনা নিয়ন্ত্রিত কৃত্রিম দ্বীপ মিসচিফ রিফের কাছে যাত্রা করেছিল।
![চলমান উত্তেজনার মধ্যে তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ 39 চলমান উত্তেজনার মধ্যে তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2023/04/chin-jahaj-3.jpg)
বেইজিং একে বেআইনি বলে নিন্দা করেছে। এ কারণে মহড়া শেষ হওয়ার পরও তাইওয়ানের আশেপাশে তার সামরিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে চীন।
সোমবার সকালে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় তারা চীনের ১৮টি সামরিক উড়োজাহাজ ও চারটি নৌযানকে তাইওয়ানের আশেপাশে শনাক্ত করেছে।
![চলমান উত্তেজনার মধ্যে তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ 40 চলমান উত্তেজনার মধ্যে তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2023/04/2-32.jpg)
উল্লেখ্য, গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে মনে করে চীন। দ্বীপ রাষ্ট্রটির নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে শক্তি প্রয়োগের আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়নি বেইজিং। চীনের এই দাবির কঠোর বিরোধিতা করে আসছে তাইওয়ানের সরকার।
সূত্র: আল জাজিরা