বাখমুতের প্রশাসনিক ভবন দখলের দাবি ওয়াগনারের, প্রত্যাখ্যান ইউক্রেনের
রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন দাবি করেছেন, ডনবাসের বাখমুত শহরের প্রশাসনিক ভবন দখল করেছে তার সেনারা। এমনকি সেই ভবনে রাশিয়ার পতাকা টাঙানোর দাবিও করেছে ওয়াগনার। সোমবার (৩ এপ্রিল) এক অডিও বার্তায় এমন দাবি করেছেন প্রিগোজিন।
তবে ওয়াগনার প্রধানের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা পরামর্শক জ্যাক সুলিভানও জানিয়েছেন, বাখমুতে এখনো লড়াই চলছে।
বাখমুতের প্রশাসনিক ভবন দখলের দাবি করে প্রিগোজিন বলেছেন, ‘আইনগত দিক থেকে, বাখমুত দখল করা হয়েছে। শত্রুরা এখন পশ্চিম দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।’
প্রিগোজিনের এ দাবি সঙ্গে সঙ্গে উড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেন। কিয়েভ জানিয়েছে, বাখমুত দখল থেকে এখন অনেক দূরে রয়েছে রুশ বাহিনী।
ইউক্রেনের ইস্টার্ন মিলিটারি কমান্ডের মুখপাত্র সেরহি সেরাভাতি বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘বাখমুত ইউক্রেনের অংশ, তারা এখনো কোনো কিছু দখল করতে পারেনি, এ থেকে (দখল করা থেকে) তারা অনেক দূরে আছে।
এছাড়া রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও প্রশাসনিক ভবন দখল এবং সেখানে রাশিয়ার পতাকা টাঙানোর ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।
এরআগে ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন একাধিকবার সামরিক সাফল্য পাওয়ার বিভিন্ন দাবি করেছেন— যেগুলো পরবর্তীতে ভুল হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই বাখমুতের দখল নিয়ে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লড়াই হয়েছে। যুদ্ধ শুরুর আগে শহরটিতে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ বাস করতেন। যুদ্ধের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে বেশিরভাগ পালিয়ে গেছেন। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, বাখমুতে বর্তমানে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার বেসামরিক মানুষ রয়েছেন।
সূত্র: আল জাজিরা