নারী শিক্ষার বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে আরও কঠোর তালেবান
আফগানিস্তানে নারী শিক্ষার বিরুদ্ধে আরও কঠোর হচ্ছে তালেবান। নারী শিক্ষা নিয়ে যারাই আওয়াজ তুলছে, তাদেরই সতর্ক করা হচ্ছে। সবশেষ মতিউল্লাহ ওয়েসা নামে নারী শিক্ষা আন্দোলনের এক কর্মীকে গ্রেফতার করে শাসক গোষ্ঠী।
৩০ বছরের ওয়েসাকে আগে থেকেই সতর্ক করে আসছিল তালেবান। কারণ তিনি বছরের পর বছর গোটা আফগানিস্তান ঘুরে নারী ও শিশুদের শিক্ষার গুরুত্ব প্রচার করে আসছেন।
সোমবার গ্রেফতারের পর ওয়েসাকে হেফাজতে রাখা হয়েছে কি না, তা তালেবানরা জানায়নি। তার বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়েছে। নারী শিক্ষার জন্য প্রচার চালাচ্ছেন এমন আরও বেশ কয়েকজন কর্মীকে গ্রেফতারের পর তাকে ধরা হয়।
তালেবান সরকারের নারীদের শিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞার একজন স্পষ্টবাদী সমালোচক প্রফেসর ইসমাইল মাশাল। নারীদের বিনামূল্যে বই দেওয়ার সময় ফেব্রুয়ারিতে কাবুলে গ্রেফতার হন তিনি। ৫ মার্চ মুক্তি পেলেও এরপর থেকে কোনও কথা বলেননি মাশাল।
![নারী শিক্ষার বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে আরও কঠোর তালেবান 38 নারী শিক্ষার বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে আরও কঠোর তালেবান](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2023/03/1-80.jpg)
ওয়েসা আফগানিস্তানের অন্যতম বিশিষ্ট শিক্ষা কর্মী। ২০২১ সালে আফগান নারীদের শিক্ষার ওপর তালেবান নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে, দাতব্য প্রতিষ্ঠান পেনপাথ-এর মাধ্যমে মেয়েদের পড়াশোনার অধিকারের জন্য প্রচার চালাতে থাকেন ওয়েসা।
![নারী শিক্ষার বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে আরও কঠোর তালেবান 39 নারী শিক্ষার বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে আরও কঠোর তালেবান](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2022/10/afgan.jpg)
২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই আফগান নারীদের কোণঠাসা করে রেখেছে তালেবান সরকার। নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ থেকে শুরু করে এনজিওতে কাজের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে তারা। আশরাফ গণির সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতায় বসার পর এ পর্যন্ত অনেক বিতর্কিত পদক্ষেপ নিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান প্রশাসন। নারীদের জনসমাগম স্থানে চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ, উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ বিষয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে পশ্চিমা বিশ্বে। তালেবান প্রশাসনকে কঠোরভাবে সতর্কও করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র: বিবিসি