কেন তাকসিমদের ধরা যায় না?

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
4 মিনিটে পড়ুন

তাকসিম এ খানের আমেরিকায় পাচারকৃত বিপুল সম্পদ নিয়ে কথা হচ্ছে৷ বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ ধনী ব্যক্তির নাম সার্চ দিন৷ বিভিন্ন রকমের ১০ জনের নাম পাবেন৷ নামের ভিন্নতা থাকলেও একটা বিষয়ে মিল পাবেন আর তা হল রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা৷ রাজনৈতিক শীর্ষ দুই পরিবারের দুজনের নাম পাবেন৷ এর বাইরে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের নাম পাবেন৷ তিনি বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের না হলেও আগের ক্ষমতাসীন দলের৷ বাকিরা সবাই বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের সাথে সম্পৃক্ত৷ ওয়াসার এমডির লুটপাটের বিষয়টা অনুমিতই ছিল৷ তাকে নিয়ে বহু সংবাদই পত্রিকায় এসেছে৷ আমাদের মিডিয়া কর্মীদের অনুসন্ধানে সীমাহীন সীমাবদ্ধতায় সবটা আসেনি৷

টাকা লুটপাটে দেশে দারিদ্রতা ও বৈষম্য বাড়িয়ে দেয়৷ কিন্তু সেই টাকা যখন পাচার হয়ে যায় তখন রাষ্ট্রের আরো বহুমাত্রিক ক্ষতি হয়৷ যেমন- রিজার্ভও কমে যায়, শিল্প-বাণিজ্যের বিকাশ ঘটে না, মেধা পাচার হয় ইত্যাদি৷ দুর্নীতিবাজরা জানেন যে, লুটের টাকা দেশে রাখলে ক্ষমতা বদল হলে ঝামেলায় পড়তেই হবে— জেলে যেতে হবে ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত হবে৷ তাই তারা টাকা পাচারই করে৷ প্রথমে বেগমপল্লীতে নিজের বেগম ও সন্তানদের পাঠিয়ে দেয়৷ দেশে জড়িয়ে পড়ে পরকীয়ায় কোন সুন্দরী তরুণীর সাথে৷ তখন ভিন্ন দেশে নতুন বাড়ির দরকার পড়ে নতুন উপপত্নীকে নিয়ে পালানোর জন্য৷ যারা বেগমপল্লীতে স্ত্রীকে পাঠিয়েছেন তাদের সবারই নাকি দেশে এক বা একাধীক রক্ষিতা রয়েছে! ফলে দুর্নীতি তাদের শেষ পর্যন্ত করতেই হয়৷

একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রধান নির্বাহীর বক্তব্য শুনছিলাম৷ তিনি তার কর্মীদের বললেন, ‘যারা নিজেরা খেতে পারে না তারা অন্যদেরও খাওয়াতে পারে না৷ আপনাদের মধ্যে যারা দুর্নীতি করেন না তারা চাকরি ছেড়ে দিয়ে তাবলিগে চলে যান৷ প্রতিষ্ঠানকে বাঁচিয়ে রেখে দুর্নীতি করেন৷ নিজে ১০ টাকা খান আর খেয়াল রাখেন খাওয়ার জন্য যাতে প্রতিষ্ঠান বেঁচে থাকে৷ আমি দেশে কোন সম্পদ করিনি৷ সবই বিভিন্ন ব্যাংকে এফডিআর৷ এবার অনুমান করুন ব্যাংকে আমার কত টাকা আছে?’ কেউ তাঁর প্রশ্নের জবাব দেয়নি৷ এরপর বহুবারই পত্রিকায় তার নাম এসেছে৷ যেদিন দুদক তাকে ধরতে রওনা দেন ঠিক তখনি সে অফিস ফেলে মালেশিয়ায় যেতে এয়ারপোর্টে রওনা দেয়৷ সাথে নিয়ে যায় তার মামীকে যার সাথে তার পরকীয়া প্রেম ছিল৷ কিন্তু তার স্ত্রী-সন্তানদের আগেই পাঠিয়েছিলেন কানাডাতে৷

taskim কেন তাকসিমদের ধরা যায় না?
কেন তাকসিমদের ধরা যায় না? 39

এই দুর্নীতিবাজরা সরকারী দলকেও শেষ পর্যন্ত সাপোর্ট দেয় না৷ দল এক সময় তাদের কাছে দায় হয়ে উঠে৷ তারা সম্পর্ক ছিন্নই করে৷ আজিজ খান সাহেবরা আরো চতুর৷ তারা আগেই সিংগাপুরের নাগরিকত্ব নিয়ে ও অবস্থান করে বাংলাদেশে ব্যবসা করছে৷ তাকসিম এ খান আমেরিকায় বসে চাকরি করার আবদার করেছিল ওই কারণেই৷ শেষে যদি পালানোর সময় না পায় তাহলে বিপদ হবে৷ তাকসিমও ওসি প্রদীপের মতোই দাবি করেছে, আমেরিকায় স্ত্রীর টাকায় বাড়ি করেছে৷ তিনি ধুয়া তুলসী পাতা!

দুর্নীতিবাজদের স্ত্রীদের কাছে আলাদীনের একটা করে চেরাগ আছে!
বেসিক ব্যাংকের শেখ আব্দুল হাই বাচ্চুকে দেখেছি৷ তার লুটপাটের ধকল এখনো ব্যাংকটি কাটিয়ে উঠতে পারেনি৷ তার মালিকানাধীন অনেকগুলো জাহাজ সমুদ্রে ভাসছে কিন্তু লুটপাট করে তিনি ব্যাংকটিকে ডুবিয়ে গেছেন৷ এবারও ব্যাংকটি লোকসান দিয়েছে৷ রাজনৈতিক শীল্ড থাকায় শীর্ষ দুর্নীতিবাজদের ধরা যাচ্ছে না৷ সুযোগে দুর্নীতিবাজরাও সবসময় সরকারি দল করে যাচ্ছে৷ এখন সুযোগ আছে এমন প্রায় সকলেই দুর্নীতি করেই যাচ্ছে৷ রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া এদের ধরাও অসম্ভব৷ এভাবে চললে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করা কোনদিনই সম্ভব হবে না৷

কলমে- মুজিব রহমান

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

বিষয়:
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!