বায়ুদূষণে ২০২০ সালে ইউরোপে মারা গেছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

বাতাসে ছড়িয়ে পড়া অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা ও বিষাক্ত গ্যাসের ফলে সৃষ্ট দূষণে ২০২০ সালে ইউরোপের ২৭টি দেশে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২ লাখ ৩৮ হাজার মানুষের। ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিবেশ বিষয়ক কর্তৃপক্ষ ইউরোপিয়ান এনভায়র্নমেন্ট এজেন্সির (ইইএ) প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

ইইএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘২০২১ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বাতাসের গুণাগুণ সংক্রান্ত যে নির্দেশিকা দিয়েছে, তা অনুসরণ করে বলা যায়— ইউরোপের বাতাসে ভয়াবহমাত্রায় ছড়িয়ে পড়ছে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা (ফাইন পল্যুশন পার্টিক্যালস টু পয়েন্ট ফাইভ বা পিএম ২.৫) এবং তার জেরেই ২০২০ সালে এই ২ লাখ ৩৮ হাজার অকাল মৃত্যু দেখতে হয়েছে ইউরোপকে।

আন্তর্জাতিক পরিমাপ পদ্ধতি অনুযায়ী, ১ লাখ মাইক্রোগ্রাম সমান ১ গ্রাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২১ নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পিএম ২.৫ ভুক্ত বস্তুকণাগুলোর ওজন ৫ থেকে ১০ মাইক্রোগ্রামের মধ্যে। সাধারণত পেট্রোল ও ডিজেল চালিত গাড়ি ও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপন্ন ধোঁয়াই এসব বস্তুকণার উৎস।

এসব বস্তুকণার উপস্থিতির কারণে সৃষ্ট দূষণযুক্ত বাতাসে যদি মানুষ দীর্ঘদিন বসবাস করে, সেক্ষেত্রে হৃদরোগ, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হাঁপানি এমনকি ক্যানসারের মতো প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হওয়ার গুরুতর ঝুঁকি থাকে।

আগের বছর ২০১৯ সালে বায়ুদূষণজনিত কারণে ইউরোপে যতসংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল, ২০২০ সালের মৃতের সংখ্যা ছিল তারচেয়ে কিছু বেশি। প্রতিবেদনে এ প্রসঙ্গে ইইএ’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘ওই বছর (২০২০ সাল) ছিল করোনা মহামারির প্রথম বছর। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ইউরোপের দেশগুলোতেও মাসের পর মাস বন্ধ ছিল যানবাহন চলাচল, শিল্প কারখানার উৎপাদন। বিগত অন্যান্য বছরের তুলনায় ওই বছর বাতাসে কার্বন নিঃস্বরণও ছিল কম। তারপরও বায়ুদুষণজনিত কারণে ২০১৯ সালের চেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ২০২০ সালে।’

তবে এই ২ লাখ ৩৮ হাজার জনের সবাই বস্তুকণাজনিত দূষণে মারা গেছে— এমন নয়। তাদের মধ্যে প্রায় ৪৯ হাজার মানুষ মারা গেছেন ইউরোপের বাতাসে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড(এনও২) নামের একটি গ্যাসের বিপজ্জনক মাত্রার উপস্থিতির কারণে। নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড ব্যাপক বিষাক্ত একটি গ্যাস। এছাড়া ওজন (ও৩) গ্যাসের ‘প্রকট প্রভাব’ জনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ২৪ হাজার মানুষের।

তবে ইইএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৯ সালের চেয়ে ২০২০ সালে বিষাক্ত গ্যাসজনিত দুষণের কারণে মৃত্যু ছিল কম, কিন্তু পিএম ২.৫ দূষণজনিত মৃতের সংখ্যা ছিল বেশি।

এছাড়া বায়ুদূষণজনিত কারণে যারা অসুস্থ ছিলেন, তাদের অনেকে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার হয়েও মারা গেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে ইইএ প্রতিবেদনে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!