চিকিৎসা বিজ্ঞানে বাবার পর ছেলেও পেলেন নোবেল পুরস্কার

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

এ বছর চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন সুইডেনের সাভান্তে পাবো। সোমবার (৩ অক্টোবর) নোবেল কমিটি তার নাম ঘোষণা করে।

নোবেল কমিটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শরীরতত্ত্বে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন সুইডেনের জিনবিজ্ঞানী সাভান্তে পাবো। বিলুপ্ত হোমিনদের জিনোম এবং মানবজাতির বিবর্তন বিষয়ে গবেষণার জন্য তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

এর ঠিক ৪০ বছর আগে ১৯৮২ সালে তার বাবা কার্ল সিউন ডেটলফ বার্গস্ট্রমও মেডিসিন বা ফিজিওলজি বিভাগেই নোবেল পেয়েছিলেন। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার।

যদিও, নোবেলের ইতিহাসে বাবা-ছেলের পুরস্কার জয় এই প্রথম নয়।

নোবেল ফাউন্ডেশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাবো জানিয়েছেন, তার জীবনে সব থেকে বড় অনুপ্রেরণা তার মা কারিন পাবো। তিনি রসায়নবিদ ছিলেন। পাবো জানিয়েছেন, বাবার সঙ্গে খুব একটা ঘনিষ্ঠতা ছিল না তার। বরং মায়ের অনেক কাছের ছিলেন। যদিও বাবার কাজ বরাবর আকর্ষণ করেছে তাকে।

বার্গস্ট্রমের মতো বিখ্যাত বিজ্ঞানী পাবোর বাবা। এই বিষয়টি থেকেও একটি শিক্ষা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন নোবেলজায়ী। কী সেই শিক্ষা? পাবোর কথায়, “নোবেলজয়ীরাও আসলে সাধারণ মানুষই হন।”

এর আগে পদার্থবিদ্যায় ১৯২৫ সালে নোবেল পেয়েছিলেন মান সেগবান। ১৯৮১ সালে ওই একই বিভাগে নোবেল পান তার ছেলে কাই। ১৯৫৯ সালে মেডিসিন বিভাগে নোবেল পেয়েছিলেন আর্থার কোরবার্গ। ২০০৬ সালে রসায়ন বিভাগে নোবেল পেয়েছিলেন তার ছেলে রজার।

পাবোর জন্ম সুইডেনে। আজকের মানব প্রজাতির বিলুপ্ত পূর্বসূরি ছিল নিয়ানডারথাল। সেই নিয়ানডারথালের জিনোম পরীক্ষা করেছেন পাবো। বর্তমান মানব প্রজাতির আর এক পূর্বসূরি হোমিনিন নিয়েও গবেষণা করেছেন এই সুইডিশ বিজ্ঞানী। গবেষণায় তিনি জানতে পেরেছেন, ওই বিলুপ্ত প্রজাতি থেকে জিন ট্রান্সফার হয়েছে বর্তমান মানব প্রজাতির শরীরে।

কীভাবে হয়েছে, তার প্রভাব কী, এ সব আজকের পরিস্থিতিতেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করেন পাবো। সংক্রমণের ক্ষেত্রে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ যন্ত্র কী ভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়, তা-ও এই গবেষণার সময় আরও ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন তিনি।

উনবিংশ শতাব্দিতে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল আবিষ্কার করেছিলেন ডিনামাইট নামের ব্যাপক বিধ্বংসী বিস্ফোরক; যা তাকে বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পত্তির মালিক করে তোলে। মৃত্যুর আগে তিনি উইল করে যান- প্রতি বছর ৫টি বিষয়ে যারা বিশেষ আবদান রাখবেন; তাদের যেন এই অর্থ থেকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

আর অর্থনীতির পুরস্কার মূলত আনুষ্ঠানিকভাবে আলফ্রেড নোবেলের স্মৃতিতে প্রবর্তন করেছে ব্যাংক অব সুইডেন। ১৯৬৮ সালে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই পুরস্কার চালু করে। ১৯০১ সাল থেকে শুরু হয় নোবেল পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। এ বছরে সোমবার থেকে শুরু হওয়া এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান শেষ হবে আগামী ১০ অক্টোবর।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!