জোড় কলম, তালু মূর্ধা জিভ, ইতিহাস লেখা হোক এবং অন্যান্য গদ্য কবিতা

বনানী চক্রবর্তী
বনানী চক্রবর্তী
8 মিনিটে পড়ুন

জোড় কলম

এই যে আমপাতার মাঝখানে গুচ্ছ ডিম রেখে দিয়ে আবার চলেছো… বলো না তোমার এ কোন সন্ধান… গুচ্ছ ডিম গুচ্ছ ডিম তাদের ও চোখ ফোটেনি এখনো… নরম অনুভূতি আঠালো অনুভূতি ভেজা অনুভূতি, তাদের এখনো চোখও ফোটেনি… তুমি তো আবার চলেছো ফাঁস জাল নিয়ে নিয়ে… ফল ও ডিমের এই সহাবস্থান, শাখা প্রশাখায় বসন্তের দোলা আর মুকুলের ঘ্রাণ… এই আহরণ প্রয়োজন ছিলো নাকি… দীর্ঘকালীন এই সন্ধানে সন্ধানে আর কি কি খুঁজে পেলে বলো… দুইহাত ঊর্ধ্বে তুলে একদমে টানছো টানছো আর টানছো বন্দুক… তোমার জটায় বিঁধে তামাটে রঙের ধোঁয়া… মাথার রেখেছো যারে, ওই ও চাঁদ চোখ না বুজিয়ে আর থাকতে পারেনি… চোখের জলের মাঝে জোয়ার আসেনা… ক্ষীণভাবে ওইখানে নাহার যে বয়ে চলে যায়…

তোমার গুচ্ছ ডিম একে একে অগণিত অন্ধ প্রাণ এনে দেবে বুঝি মনে হলো… তাদের নরম অনুভূতি, তাদের কঠিন অনুভূতি ক্রমশ ক্রমশ হিংসল মাংসল হবে… একে অন্যের মনে মনে ঈর্ষা জাগাবে… একে অন্যের হৃদয়ে হৃদয়ে ফিনকি রক্ত দেবে… রক্ত রক্ত রক্ত… পাঁশুটে তামাটে ঘ্রাণ… একে অন্যের বুকে এক এক ভুলে যাওয়া মনে রাখা ঘ্রাণ… গুছিবদ্ধ পাতার জীবন… মুঠোবদ্ধ শিকারির জাল… তুমি একে একে টুঁটি ধরে আলাদা করার কালে অজানিতে দাঁতের আঘাত প্রত্যেক গ্রীবায় রয়ে যাবে…

এভাবেই সিঁদুর খেলার মতো, বিজিত প্রাণীর মতো, পাড়ে ছুঁড়ে দেওয়া ওই ঊর্মি লহরী যত, বালির তৃষ্ণা আজও হয়তোবা একে একে সবারেই শুষে নেবে… শুধু ওইখানে ওই কালো শরীর আর সবুজ ভাঁটির চোখ রাত্রিভেদ করে দিয়ে এগিয়ে আসবে তোমার কাছে, গ্রীবায় গ্রীবায় দীর্ঘ লড়াই শেষে ওই ওর মিথস্ক্রিয়া জারি রেখে দেবে মনে হয়… আবার নতুন এক কলসপত্রি কোনো গল্প জানাবে…

তালু মূর্ধা জিভ

আমি তো বলিনি কিছু… গুণসূঁচে বস্তা সেলাই করে এইখানে যাবতীয় শস্য ভরে ভরে বাতিল কাগজ টিন… যুদ্ধ সরঞ্জাম… বলেছো বারংবার চুপ… ওইমুখে ভাষাহীন হও… একস্তনে দুগ্ধহীন ছলাকলা অন্যপক্ষে দুধের বন্যা বহাও… নাক কানে বহু ছিদ্র করে দিয়ে ছিদ্রবন্ধ প্রক্রিয়ায় সায় দিয়ে দিয়ে, অনুগত সারমেয় তোমার আমি যে পাতের হাড়ের থেকে রস চুষে চুষে শুধু তৃপ্তি খুঁজেছি…

আমি তো বলিনি কিছু… আমি যে বলিনি কিছু সে কথার আলোড়ন আজো বুঝি নিরাপদ নয় তাই, সেইসব কথা থাক… আমার শরীরের এই ডোরাকাটা দাগ জঙ্গলের উপযুক্ত হয়নি এখনো… এ ঘটনা বর্ণনা জলদস্যু হানা নাকি অন্যকিছু নাম হবে, থাক না সেসব… অভিমান হিংসা রাগে লোহার শেকল…বাসর ঘরেতে ওই জল হাওয়া কালসাপ সূক্ষছিদ্র ইত্যাদি প্রভৃতি কথা বলবো কখনো…
তোমার ভাষায় আজো যাবতীয় হানাদারী ঘটেই চলেছে… আমি শুধু সায় দিলে খুশি হলে, তাই দিতে হবে… আমার মুখের থেকে মাংস খসে খসে দাঁত জিভ তালু মূর্ধা মুক্ত হয়ে গেলে, তখন আবার দেখা যাবে…

ইতিহাস লেখা হোক

জোড় কলম, তালু মূর্ধা জিভ, ইতিহাস লেখা হোক এবং অন্যান্য গদ্য কবিতা
ইতিহাস লেখা হোক

জানালা থেকে সরে সরে গেলো গাছ, আলোয় আলোয় তারার জোনাকি ছেড়ে, তুমিও যাবেই ভুলের দীর্ঘ পথ উপেক্ষার লাটাই গুটিয়ে নিয়ে… যাবেই যদি রঙিন ঘুড়ির কাঠি বাঁকালে কেন, কেনবা দুহাতে বাঁকাও… ওদের বুকেও ধনুক ফুঁড়েছে তির, জানলো না এ রঙের উৎস পথ… না জানে সে নয় ভুলবে অঙ্গীকার, দাবানলে দেখো জ্বলছে সমূহ গ্রাম… পুড়ছে চামড়া মাংস নদী ও দেশ, আমিও তবে কোথায় ঝাঁপ দিলাম… এখানে দীর্ঘ নয়ানজুলির রাত, ওধারে আঁধার রক্তবর্ণ চোখ, তোমার আমার অহং দ্বৈরথ, মানের পালা এভাবে সাঙ্গ হোক…

দেখা হলে সব স্বভাবসম্মত বাঁকানো গ্রীবা অপাঙ্গে খোঁজা চোখ, কি দিয়ে ঢেকেছ মোহের বর্ণ ঠুলি, রক্ত মাংস লসিকা বৃষ্টি হোক… আকাশ ঝরাবে অশ্রু বৃষ্টিকণা, গলে গলে যাবে আমাদের চেনা ত্বক,ফোস্কা আগুন তাপের বালিশ নিয়ে আবার নতুন ইতিহাস লেখা হোক…

জনার্দন

জোড় কলম, তালু মূর্ধা জিভ, ইতিহাস লেখা হোক এবং অন্যান্য গদ্য কবিতা
জনার্দন

তুমিতো বলেছো আমাকে, আমি সব পারি… জনার্দন আমি… এগিয়ে এগিয়ে যাও… নিমেষেই চারহাত দেখলাম আমি… তোমার দেখানো শত্রুর দশমাথা, ভূমিতে লুটিয়ে পড়ে, লুফে নিই… লোফালুফি লোফালুফি লোফালুফি… মাথার ও চুলে ভেজা অনুভব নেই… তাপ নেই… উত্তেজনায় প্রত্যেক রোমকূপ যেন সজারুর কাঁটা হয়ে গেছে… আমি সব পারি…

এ শরীর শত্রু ছোঁয়ার সাথে সাথে পচে যাবে খসে যাবে সব, তুমিতো বলেছো সেদিন… আয়নার কি প্রয়োজন… মজা পুকুরের জল দীর্ঘ সরোবর হয়ে গেলো… আমি অবয়ব দেখি… দীর্ঘ তৃপ্ত এক স্নান শেষে কপালে তিলক কাটি… একশো আট নাম জপে নিজেকে স্তিমিত করে দিলে কিলবিলে শত্রুদের সুবিচার করা যে হবে না… ক্ষুধিত বাঘের মতো ছুটে যাই… তপ্ত নিঃশ্বাসে ধুলো ওড়ে, বালি ওড়ে, জল শুষে নেয়… তোমার আঙুল জেগে থাকে… যাও যাও যাও… যাবো… আরো কতদূর যাবো… কোথায় থামবো শেষে… এই বুক ডোরাকাটা হয়ে গেছে দেখো… গরম তরল এসে আদেহ স্নানের মাঝে ঘেন্না ভয় এনেছিলো কিনা… ভাববো না ভাববো না… শুধু বলে দাও, কোথায় থামতে পারি শেষে…

কাশ ফুল

জোড় কলম, তালু মূর্ধা জিভ, ইতিহাস লেখা হোক এবং অন্যান্য গদ্য কবিতা
কাশ ফুল

বলেছিলে কিছু থাকবেনা… তোমার আমার পাতে সমান দুধের বাটি, ল্যাজা মুড়োগুলো ভাগ করে দেবে নিয়মিত… আমিও বলেছি বিস্বাদ এ জীবনে এবার ফুটবে কৃষ্ণচূড়া, ময়ূরের কলাপ বিস্তার, কিছুদিন বাকি আর কিছুদিন বাকি… তোমার যে সাতমহলা বাড়ি, তার সব ঘরগুলো চেনা যে হয়নি আজো… বেলজিয়ামের কাঁচে শৈশবে ফুটে ওঠা মেচেতার রঙ কিগো আরো বেশি কালো হয়ে যাবে…

তবে থাক, দূর থেকে দেখি সব… দূরের আলোয় বুঝি মোহময়ী হবো আমি, তুমিও আমাকে দেখো কনে দেখা আলো আঁধারিতে… এ শরীরে ভাঁজে ভাঁজে বহুবিধ জমানো দুঃখ আছে… মেদের আড়ালে বুঝি এইবার সব ঢেকে যাবে… বলেছিলে আমার ও পাড়ার যত কোটরের চোখগুলো শরতের কাশফুল, রঙিন আকাশ পাবে… দেবীর বোধন হলে নবপত্রিকা যাবতীয় তৃণ গুল্ম বৃক্ষগুলি সাথী করে নিয়ে আসে, আমিও তেমন হবো… দুধের ফেনার মতো শয্যার কাছে যাবো…

বারবার রজঃস্বলা কালের নিয়ম… এইভাবে স্বপ্নের ফেরিওয়ালা জানালার কাছে এসে ফিরে চলে যায় যদি, কিভাবে কখন তবে সমূহের জয় পরাজয় নিয়ে রঙিন পতাকা কোনোদিন চিলেকোঠা ভেদ করে ওই আকাশ ছোঁবে…

বোধন

জোড় কলম, তালু মূর্ধা জিভ, ইতিহাস লেখা হোক এবং অন্যান্য গদ্য কবিতা
বোধন

একটা কথার কাছে দাঁড়াবে কি তুমি বলো, সামনে নদীর বাঁক, বটগাছ ছাওয়া পথে দাঁড়িয়ে রয়েছি… খাঁজে খাঁজে কাশফুল, দেবীর বোধন… এইখানে ছায়া, এইখানে তৃণহীন প্রান্তর ধুলো ধুলো ভয় নিয়ে মুখ বুজে আছে… বুক ভরে অনেক জিজ্ঞাসা… তালের পাতায় ঝুলে ঝুলে বেচেঁ আছে অনেক জিজ্ঞাসা… গোবর মাটিতে গাঁথা জোনাকি বিস্ময়…

তুমি এসো, বসবে আমার পাশে… স্বভাবসিদ্ধ ওই হাত দিয়ে ছুঁয়ে দিলে ধরে নেবো অধীনতা মিত্রতা নাকি একে অপরের আধিপত্য ভোগ করে যাই… বহুবিধ রাসায়নিক ক্রিয়া বিক্রিয়ার মাঝে তাপ বিকিরণকারী হয়ে আজো রয়ে গেছি… প্রকৃত প্রস্তাবে কি গো আমাদের মাঝখানে সবটাই হতে পারে ফাঁকির কাহিনি… তোমার মণিতে দেখি বাদামি বাহার, আমার মণি কি কালো… আরো কিছু ঘন হয়ে এসো, বলো আমার মণি কি কালো… আমার গায়ের রঙ… তোমার চুলের ওই কুঞ্চিত বাহার, কোন কথা বলে দেবে ভেবেছো কখনো…

থাক না এসব কথা, তোমার কথাই বলো… তুমি এইখানে যদি দীর্ঘ স্নান পরবর্তী কোনো স্মৃতি নিয়ে এসে থাকো, আমি বলো দাঁড়াবো কোথায়… গলার মাঝের ওই উদাসীন আঁকা বাঁকা কথা যদি দীর্ঘ দীর্ঘ এক নদী হয়ে যায়… আমি ভাসবো কোথায়… শরীরের প্রতি রোমকূপ কলসপত্রী হয়ে ওই ঘ্রাণ নিয়ে নিয়ে পাতাল প্রবেশ হলে… বলো বলো এই আমি নামবো কোথায়…

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
কবি বনানী চক্রবর্তীর জন্ম পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণার বসিরহাট মহকুমায়। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ নভেম্বর। বাবা – চঞ্চল চক্রবর্তী, মা – অনুপমা চক্রবর্তী ছোটবেলায় পরিবার ও প্রতিবেশীরা আদর করে তাঁকে মনু ও মণি নামেই ডেকেছে। সেই নামের তাঁর প্রতি আজন্ম টান । জন্মস্থানের প্রতি তাঁর আত্মিক টান আরও প্রবল। তাঁর কবিতার অজস্র পংক্তি জুড়ে বারবার উঠে এসেছে জন্মভূমির কথা। নস্টালজিক শৈশব ও কৈশোর পেরিয়ে তিনি যেন জীবনের আর কোথাও পাড়ি দিতে চান না। তাহলেও জীবনের বৃন্দাবন জুড়ে তিনি সম্পর্কের বিচিত্র অভিমুখ খুঁজেছেন। জীবনের স্বাধীনতা যেখানেই দেওয়াল তুলেছে, তিনি কবিতায় সেই স্বাধীনতা উসুল করে নিয়েছেন। তাঁর স্বাধীনতা বোধের ব্যাপ্তি কত গভীর ও ব্যঞ্জনাময় তাঁর কবিতায় অনুধাবন করতে কষ্ট হয় না। পড়াশুনায় বরাবর মেধাবী বনানী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাটক বিশেষ পত্র নিয়ে বাংলায় স্নাতকোত্তর ও ভ্রমণ সাহিত্য নিয়ে‌‌ তিনি পি এইচ ডি ডিগ্রী লাভ করেন। তাঁর পড়াশুনার ক্ষেত্রে এই সময়টা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কলকাতা‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাতালিকায় অন্যতম শীর্ষে তিনি ছিলেন। বরাবর অন্তর্মুখী স্বভাবের কবি বনানী কখনও আত্মপ্রচারের প্রলোভনে পা বাড়াননি। লিখেছেন অনেক কিন্তু প্রকাশ একেবারেই সামান্য। প্রধানত তিনি কবিতা চর্চা করলেও তাঁর মননশীল প্রবন্ধ চর্চা বিশেষ প্রশংসার দাবিরাখে। তাঁর লেখালেখি স্কুল বয়স থেকেই। পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ অপেক্ষা নিজের সঙ্গে নিজের সেইসব কবিতা ডায়েরিবদ্ধ হয়েই আছে বেশিরভাগ। তাহলেও বিভিন্ন অনুরাগীর আগ্রহ ও ভালবাসায় ইতিমধ্যে তাঁর কয়েকটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। সম্পাদনা করেছেন,কয়েক উল্লেখযোগ্য বিষয়েও। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা – ১২ আলোচনা গ্রন্থ(প্রবন্ধ ) ১) চন্দ্রগুপ্ত – রত্নাবলী পাবলিশার্স (এপ্রিল,১৯৯৩) ২) নীলদর্পণ – রত্নাবলী পাবলিশার্স(জানুয়ারি ২০০১) ৩) বাংলা ভাষা পরিচয় – সোমা বুক এজেন্সি (মার্চ,২০০৫) ৪) দেবীগর্জন – রত্নাবলী পাবলিশার্স (আগস্ট,২০১২) ৫) বাংলা ভ্রমণ সাহিত্যের রূপ ও রূপান্তর- রত্নাবলী পাবলিশার্স(জানুয়ারি,২০১৩) কবিতা ৬) ছিন্ন খঞ্জনার মত – আকাশ পাবলিশার্স(জানুয়ারি,২০১৭) ৭) ক্রমাগত চরকার ঘ্রাণ- আদম পপাবলিশার্স(জানুয়ারি,২০১৯) ৮)সংক্রমিত মেহগনি গাছ- তাবিক পাবলিশার্স(জানুয়ারি,২০২০) ৯) বৃষ্টি সময় অন্তরে – অভিযান পাবলিশার্স(ফেব্রুয়ারি,২০২২) সম্পাদিত গ্রন্থ ১০) স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলা নাটকের গতিমুখ- রোহিণী নন্দন পাবলিশার্স(অক্টোবর,২০১৪) ১১) নাটক নিয়ে কথাবার্তা – রোহিণী নন্দন পাবলিশার্স(জুলাই,২০১৫) ১২) শতবর্ষে বিজন ভট্টাচার্য – বুকস স্পেস পাবলিশার্স(মার্চ ২০১৬) পত্রিকা সম্পাদনা – প্রায় একযুগ বিদ্যানগর কলেজ পত্রিকা “উত্তরণ” সম্পাদনা করেছেন। জীবন সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি – ঈশ্বর বিশ্বাসী,উদার।বিশ্বব্রহ্মাণ্ড, স্রষ্টা সৃষ্টি সম্পর্কে উদগ্র কৌতূহল। শ্রদ্ধা ও মুগ্ধতা নিয়ে জগৎ ও জীবনকে দেখা।নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী। জ্ঞানত: কারো ক্ষতি না করে জীবন উপভোগ। মৃত্যু পরবর্তী অজানা কুহকের স্বপ্ন না দেখে বর্তমানকে সত্য বলে মেনে নেওয়া।থেমে যাওয়াই মৃত্যু, চলাই জীবন – এটাই মূল মন্ত্র। বিশেষ শখ – ভ্রমণ ও নাটক দেখা।
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!