নাটোরে নিজ ঘর থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর প্রতিনিধি
2 মিনিটে পড়ুন
প্রতীকী ছবি

নাটোরের বড়াইগ্রামে নিজ শয়নকক্ষ থেকে শাবনূর খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার সংগ্রামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

গৃহবধূ শাবনূর খাতুন উপজেলার সংগ্রামপুর গ্রামের নবাব আলীর ছেলে চান মিয়ার স্ত্রী এবং পারকোল গ্রামের আলম শেখের মেয়ে।

মৃতের বাবা আলম শেখ বলেন, ‘সাত বছর আগে চান মিয়ার (৩২) সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার কাছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন।

এরপর থেকেই প্রতিনিয়ত সেই টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন তাঁরা। আমি সেই টাকা পরিশোধও করি। কিন্তু তাঁরা আরও টাকা দাবি করে আমার মেয়েকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সালিস মীমাংসাও করা হয়েছে।’

আলম শেখ আরও বলেন, ‘গতকাল নিজ শয়নকক্ষের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় আমার মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়, যা মাটির ওপরে দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল। আমার মেয়েকে ওর শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখেছে।’

গৃহবধূর স্বামী চান মিয়া বলেন, ‘আমি ঢাকার একটি কারখানায় কাজ করি। গত বুধবার বাড়ি এসেছি। শাবনূর আমাকে আমার শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে। পরে আমি তাঁকে দুই দিন পরে যাওয়ার জন্য বলি। এ ঘটনায় রাগ করে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।’

এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক আবু সিদ্দিক বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পরিদর্শক আরও বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী চান মিয়াকে আটক করা হয়েছে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!