সাতক্ষীরা শ্যামনগরের দুই সন্তানের জননীকে কুপিয়ে হত্যা

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন

সাতক্ষীরা শ্যামনগরের গাবুরায় দুই সন্তানের জননী তাসকিয়া খাতুনকে (৩২) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি গাবুরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর সোরা গ্রামের খালেক গাজীর ছেলে ইসমাইল গাজীর স্ত্রী।

রবিবার (২৪ জুলাই) রাত ১টার দিকে গাবুরার ৯ নম্বর সোরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ।

ওসি কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনার পর থেকে সন্দিগ্ধ সাহেব আলী পলাতক রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাহেব আলীর মা ফাতেমা বেগমকে থানায় নিয়ে এসেছে পুলিশ। হত্যার রহস্য উন্মোচনে কাজ করছে পুলিশ।

নিহতের মেজো জা (দেবরের বউ) পারুল জানান, নিহত তাসকিয়া আমার সেজো দেবরের স্ত্রী। সংসারে অভাব অনাটনের কারণে আমার দেবর বিভিন্ন জেলায় দিন মজুরের কাজ করেন। তিনি ঢাকায় রিক্সা চালাতেও যান। তার দুই ছেলে আছে। বড় ছেলেটা তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ছোট ছেলের বয়স তিন বছর।

তিনি বলেন, “২৩ জুলাই দিবাগত রাত ১টার দিকে তাসকিয়ার দুই ছেলে ঘরের মধ্যে অনেক সময় ধরে কান্নাকাটি করছিল। তাই শুনে আমি ওদের ঘরে গিয়ে দেখি তাসকিয়া ঘরে নেই। ছেলে দুটি খাটের উপর বসে কাঁদছে। এমন সময় আমার স্বামী ও বড় ভাসুর আমাকে বলেন তাসকিয়া বাথরুমে গেছে কি-না দেখতে। কিন্তু বাথরুমে না পেয়ে হঠাৎ বাড়ির বাইরে লাইট মারতেই দেখি তাসকিয়া বাইরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার দিয়ে স্বামী ও ভাসুরকে ডাকি।”

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, একই গ্রামের সোলায়মান খার ছেলে সাহেব আলী (২৫) অনেকদিন ধরে তাকে অনৈতিক প্রস্তাবে দিয়ে আসছিল। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!