নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শুরুতেই আঘাত হেনেছিল বাংলাদেশ দল। ইনিংসের ২১তম বলে, যা ছিল শরিফুলের দ্বিতীয় ও ইনিংসের চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বল। দলপতি টম লাথামকে ফিরিয়ে দেন। উইকেটের পেছনে তার ক্যাচ ধরেন লিটন দাস। তখন লাথামের রান ছিল ১, দলেরও ১। কিন্তু এই শেষ।
এরপর শুরু হয় নিউ জিল্যান্ডের প্রতিরোধ। যে প্রতিরোধ সামাল দেন উইল ইয়াং এবং ডেভন কনওয়ে। তাদের প্রতিরোধের সামনে পরে আর আঘাত হানতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। নিতে পারেননি কোনো উইকেট। আরেকটি উইকেট পড়েছে। তা ছিল রান আউট। চা বিরতি পর্যন্ত স্বাগতিকদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৪৭। কনওয়ে ৮৮ ও শেষ টেস্ট খেলতে নামা রস টেলর ৪ রানে অপরাজিত।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে টস জিতে দলপতি মুমিনুল বোলারদের হাতে বল তৃুলে দিয়েছিলেন। শুরুতেই আঘাত হানার পাশপাশি প্রথম ঘণ্টা বেশ ভালোই শাসন করেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। কিন্তু পরে ধীরে ধীরে উইকেটে সেট হয়ে যান ইয়াং ও কনওয়ে। জুটিতে তাার ১৩৮ রান যোগ করেন। জুটি ভাঙ্গে ইয়াং রান আউট হলে॥ মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ইয়াং ফ্লিক করে মিড উইকেটে খেলেছিলেন। দ্রুত এক রান নিতে চেয়েছিলেন ইয়াং। কিন্তু কনওয়ে তাকে ফিরিয়ে দেন। ইয়াং অবশ্য ফিরে যেতে পারেননি। নাজমুল হোসেন শান্তর নিখুত থ্রোতে স্ট্যাম্প ভেঙ্গে দেন উইকেট কিপার লিটন দাস। ইয়াং আউট হলেও সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন কনওয়ে। ৮৮ রানে অপরাজিত তিনি।
নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের নেই কোনো জয়। এমন কি ড্রও। বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে এবারও জয়ের আশা তিরোহিত। ড্র করাটাই যেন অনেত বড় প্রাপ্তি হয়ে উঠবে। সেই দৃষ্টিকোন থেকে বাংলাদেশ সেরা একাদশ সাজিয়েছে লম্বা ব্যাটিং লাইন নিয়ে। ৭ ব্যাটসম্যান আর ৪ বোলার। অবশ্য ৭ ব্যাটসম্যান নিয়ে বাংলাদেশ নতুন খেলে না। সব সময়ই খেলে থাকে। ৭ ব্যাটসম্যান হলেন সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল ইসলাম জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, ইয়াসির আলী। পেসার তিনজন। তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন ও শরিফুল ইসলাম। স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। নিউ জিল্যান্ড দলে চার পেসার ও এক স্পিনার এবং উইকেটকিপারসহ ব্যাটসম্যান ৬ জন। চা বিরতি পর্যন্ত খেলা হয়েছে ৫৪ ওভার। তাতে তিন পেসার মিলে করেছেন ৪০ ওভার। তাসকিন ও শরিফুল ১৪ ওভার করে, এবাদত ১২ ওভার বোলিং করেছেন। স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ করেছেন ১৪ ওভার বোলিং। সবাই ওভার প্রতি রান দিয়েছেন তিনের কম।