সুন্দরী রমনীরা এখনও নিলামে বিক্রি হয় হাটে

সিদ্ধার্থ সিংহ
সিদ্ধার্থ সিংহ
2 মিনিটে পড়ুন
ছবি: সংগৃহীত

প্রকাশ্য হাটে বিক্রি করা হচ্ছে সুন্দরী কুমারীদের। তাও আবার সেটা করছেন তাদের বাবা-মায়েরাই। এ সব ঘটনা ঘটে বুলগেরিয়ার স্তারা জাগোরা অঞ্চলে। আসলে অত্যন্ত দরিদ্র্য এই অঞ্চলের বাবা মায়েরা অর্থের অভাব-অনটনে অনেক সময়ই মেয়ের বিয়ে দিতে পারেন না।

তাই বাবা-মায়েরা কিছু অর্থ পাওয়ার জন্য মেয়েকে সাজিয়ে গুছিয়ে হাটে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেন। তবে অর্থের পরিমাণ যত বিপুলই হোক না কেন, সেটা খুব একটা বড় কথা নয়। এ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র তাঁর কাছেই মেয়েকে বিক্রি করা হয়, যিনি সেই মেয়েকে বিয়ে করে তাঁদের সঙ্গে আত্মীয়তা গড়ে তুলতে চান।

তাই সুন্দরী মেয়েরাও আর আপত্তি করেন না। হাট থেকে সব চেয়ে বেশি দাম দিয়ে যিনি তাঁকে কিনে নেন, সেই ক্রেতার সঙ্গেই সারা জীবনের জন্য ঘর সংসার করতে চলে যান।

বহু যুগ ধরে এই অঞ্চলের রোমা জনগোষ্ঠীর মেয়েদের এ ভাবেই বিয়ে হয়ে আসছে। এই রোমা জনজাতিকে বুলগেরিয়ার কেউ কেউ আবার কালাইদঝিও বলেন। তবে পাত্রীর দাম কত হবে, তা নির্ভর করে তাঁর রূপের ছটা আর সাজগোজের বহর দেখে। ফলে যতটা না সুন্দর মেয়ে, নানান রকম প্রসাধনী দিয়ে তার চেয়ে হাজার গুণ সুন্দরী করে তোলা হয় তাঁকে।

এ জন্য ওই সমাজে মেয়েদের সুন্দর করে সাজিয়ে দেওয়ার জন্য তালিম প্রাপ্ত বেশ কিছু অভিজ্ঞ লোকও আছেন। তাঁরা এই সব কলাকৌশল করে স্ত্রী কিনতে আসা পুরুষদের যতটা পারেন নজর কাড়ার চেষ্টা করেন। আর যত বেশি নজর কাড়তে পারেন, মেয়ের দামও নিলামে চড়চড় করে তত বাড়তে থাকে। আর মেয়ের দাম বাজার দরের চেয়ে বেশি উঠলেই, ওই মেয়ের বাবা-মায়ের কাছ থেকে তাঁরা শুধু পারিশ্রমিকই পান না, তার সঙ্গে পান বাড়তি কিছু বকশিসও।

আর মেয়ে যত বেশি দামে বিকোয়, মেয়ের বাবা-মায়েরা তত বেশি খুশি হন। না, তাঁরা যে অনেক বেশি অর্থ পাচ্ছেন, শুধু সে জন্য নয়। খুশি হওয়ার অন্যতম কারণ হল, তাঁদের জাতে একটি প্রচলিত প্রবাদ আছে, যেটা বাংলা করলে দাঁড়ায়— যে যত বেশি দাম দিয়ে মেয়ে কেনে, সেই মেয়ের সংসার ভাঙার সম্ভাবনা তত কম থাকে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
২০২০ সালে 'সাহিত্য সম্রাট' উপাধিতে সম্মানিত এবং ২০১২ সালে 'বঙ্গ শিরোমণি' সম্মানে ভূষিত সিদ্ধার্থ সিংহের জন্ম কলকাতায়। আনন্দবাজার পত্রিকার পশ্চিমবঙ্গ শিশু সাহিত্য সংসদ পুরস্কার, স্বর্ণকলম পুরস্কার, সময়ের শব্দ আন্তরিক কলম, শান্তিরত্ন পুরস্কার, কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত পুরস্কার, কাঞ্চন সাহিত্য পুরস্কার, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা লোক সাহিত্য পুরস্কার, প্রসাদ পুরস্কার, সামসুল হক পুরস্কার, সুচিত্রা ভট্টাচার্য স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার, অণু সাহিত্য পুরস্কার, কাস্তেকবি দিনেশ দাস স্মৃতি পুরস্কার, শিলালিপি সাহিত্য পুরস্কার, চেখ সাহিত্য পুরস্কার, মায়া সেন স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার ছাড়াও ছোট-বড় অজস্র পুরস্কার ও সম্মাননা। পেয়েছেন ১৪০৬ সালের 'শ্রেষ্ঠ কবি' এবং ১৪১৮ সালের 'শ্রেষ্ঠ গল্পকার'-এর শিরোপা সহ অসংখ্য পুরস্কার। এছাড়াও আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত তাঁর 'পঞ্চাশটি গল্প' গ্রন্থটির জন্য তাঁর নাম সম্প্রতি 'সৃজনী ভারত সাহিত্য পুরস্কার' প্রাপক হিসেবে ঘোষিত হয়েছে।
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!