দখলদার এখন মালিক গোবিন্দ মন্দিরের!

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর প্রতিনিধি
2 মিনিটে পড়ুন
ছবি: মাহাবুব খন্দকার

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার ব্রহ্মপুর গ্রামে অবস্থিত প্রাচীন গোবিন্দ মন্দির জরাজীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। কথিত আছে জমিদার গোপেন সুকেল নির্মাণ করেছিলেন এই গোবিন্দ মন্দিরটি, তবে কত সালে নির্মিত হয়েছিল এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

প্রতিনিয়ত মন্দিরের দেয়াল থেকে চুন-সুরকি ঝরে ঝরে পড়ছে আর পরগাছা আক্রমণ করেছে মন্দির অঙ্গের বিভিন্ন স্থানে।

এলাকাবাসীরা বলছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে জাঁকজমকপূর্ণ ছিল এই মন্দিরটি। স্বাধীনতার পরেও কয়েক বছর নিয়মিত চলতো পূজা-অর্চনা।

স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে মন্দিরের আশেপাশের অনেক জায়গা দখল করে নিয়েছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী। ১৯৭৭ সালে মন্দিরের সেবাইত কানাইপদ অধিকারী সপরিবারে ভারতে চলে যান। এরপর দেবোত্তোর সম্পত্তি দখলে নেয় মো. মজিবর রহমান।

2 3 দখলদার এখন মালিক গোবিন্দ মন্দিরের!
নলডাঙ্গা গোবিন্দ মন্দির/

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, তৎকালীন সময়ে মো. মজিবর রহমান ভারতের মুর্শিদাবাদ থেকে আসেন এবং নলডাঙ্গা ভুমি অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৯৮০ সালে নলডাঙ্গা ভুমি অফিসের যোগসাজোশে দলিল তৈরি করে নেন তিনি।

দেবোত্তর সম্পত্তি দখল বা দলিল তৈরি হয়? এমন প্রশ্ন অনেকের মনে থাকলেও কেউ ভয় বা কোন অজানা কারণে, কোনরকম প্রতিবাদও করেন না। স্থানীয়রা মুখ বন্ধ করে রেখেছেন কেন? এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা যায় জানা যায় দখলদার প্রভাবশালী ব্যক্তি।

আর এই সুযোগে হারিয়ে যেতে বসেছে নাটোরের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। প্রাচীন এই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনটির অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার আগেই, প্রশাসনিকভাবে দখলমুক্ত করে, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে পুনর্নির্মাণ হোক প্রাচীন এই মন্দির, এমন প্রত্যাশা স্থানীয় প্রগতিশীল মানুষের।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!