লিবিয়া উপকূলে নৌকা ডুবে ৬০ জনের বেশি শরণার্থীর মৃত্যুর শঙ্কা
ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূলে একটি নৌকা ডুবে ৬০ জনের বেশি শরণার্থী মারা গেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)।
আইওএম শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) এ এক পোস্টে এ তথ্য জানায় বলে খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
![লিবিয়া উপকূলে নৌকা ডুবে ৬০ জনের বেশি শরণার্থীর মৃত্যুর শঙ্কা 38 লিবিয়া উপকূলে নৌকা ডুবে ৬০ জনের বেশি শরণার্থীর মৃত্যুর শঙ্কা](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2021/07/nouka-dubi-1024x533.jpg)
বেঁচে যাওয়াদের বরাত দিয়ে আইওএম আরো জানায়, নৌকাটি লিবিয়ার উপকূলবর্তী শহর জুওয়ারা থেকে রওয়ানা হয়। সেটিতে প্রায় ৮৬ জন আরোহী ছিল।
সমুদ্রে বিশাল বিশাল ঢেউয়ের আঘাতে নৌকায় পানি ঢুকে যায় এবং নৌকাটি ডুবে গিয়ে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৬১ শরণার্থী ভেসে যায়। তারা ডুবে মারা গেছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে নৌকায় করে ইউরোপে প্রবেশের অন্যতম প্রধান পথ লিবিয়া। এটি শরণার্থীদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক পথও বটে।
এ বছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করতে গিয়ে দুই হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষ ডুবে মারা গেছে বলে জানিয়েছে আইওএম।
![লিবিয়া উপকূলে নৌকা ডুবে ৬০ জনের বেশি শরণার্থীর মৃত্যুর শঙ্কা 39 ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে চলতি বছর নিখোঁজ ২ হাজার ৫০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2023/09/nouka-sorona.jpg)
সর্বশেষ নৌকা ডুবিতে যাদের মৃত্যু হয়েছে তারা নাইজেরিয়া, গাম্বিয়া এবং আফ্রিকার অন্যান্য দেশ থেকে আসা শরণার্থী ছিলেন।
এ ঘটনায় বেঁচে যাওয়া প্রায় ২৫ জনকে লিবিয়ার একটি ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এক্স এ আইওএম মুখপাত্র আরো বলেন, “এই বছর সমুদ্র যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেটা খুবই নাটকীয় একটি সংখ্যা। যা দুর্ভাগ্যক্রমে এটা প্রমাণ করে যে, সমুদ্রে জীবন বাঁচানোর জন্য যথেষ্ট করা হচ্ছে না।”
![লিবিয়া উপকূলে নৌকা ডুবে ৬০ জনের বেশি শরণার্থীর মৃত্যুর শঙ্কা 40 লিবিয়া উপকূলে নৌকা ডুবে ৬০ জনের বেশি শরণার্থীর মৃত্যুর শঙ্কা](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2023/01/nouka-1024x533.jpg)
গত জুনে গ্রিসের দক্ষিণে একটি নৌকা ডুবে অন্তত ৭৮ জনের মৃত্যু হয়। আরো প্রায় ১০০ জনকে উদ্ধার করা হয়।
এসব শরণার্থীরা মূলত ইতালি হয়ে ইউরোপের অন্যান্য দেশে পৌঁছানোর চেষ্টা করে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার হিসাব অনুযায়ী এ বছর এক লাখ ৫৩ হাজারের বেশি শরণার্থী তিউনিসিয়া ও লিবিয়া হয়ে ইতালিতে প্রবেশ করেছে।