জিম্মি অবস্থায় হামাস যোদ্ধাদের প্রেমে পড়ার গুঞ্জন ইসরায়েলি তরুণীর

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
4 মিনিটে পড়ুন
হামাস সদস্যদের কাছ থেকে মায়ার বিদায় নেওয়ার মুহূর্তটি। ছবি টুইটার

জিম্মি অবস্থায় হামাস যোদ্ধাদের প্রেমে পড়ার গুঞ্জন ইসরায়েলি তরুণীর

গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতির তৃতীয় দিনে রোববার তৃতীয় দফায় জিম্মিদের ১৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তৃতীয় দফায় মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের মাঝে ছিলেন ২১ বছর বয়সী ইসরায়েলি তরুণী মায়া রিগেভ।

জিম্মি অবস্থা থেকে তৃতীয় দফায় মুক্তি দেওয়া ইসরায়েলিদের একাধিক ফুটেজ প্রকাশিত হয়েছে গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। এসব ভিডিওতে ক্রাচে ভর দিয়ে রেড ক্রসের গাড়ির দিকে এগিয়ে যাওয়া মায়া রিগেভ অনেকের দৃষ্টি কেড়েছেন। বিশেষ করে, মুক্তির সময়টিতে হামাস যোদ্ধাদের কাছ থেকে তাঁর বিদায় নেওয়ার মুহূর্তটি নিয়ে এখন অনেকেই আলোচনা করছেন।

জিম্মি অবস্থায় হামাস যোদ্ধাদের প্রেমে পড়ার গুঞ্জন ইসরায়েলি তরুণীর
একজন হামাস সদস্য। ছবি সংগৃহীত

ভিডিওতে দেখা যায়—ক্রাচে ভর দিয়ে এগিয়ে চলা মায়াকে রেড ক্রসের গাড়ির দিকে নিয়ে যাচ্ছেন কয়েকজন হামাস যোদ্ধা। গাড়িতে ওঠার পর হামাস যোদ্ধাদের কাছ থেকে খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে বিদায় নেন মায়া। হামাস যোদ্ধাদের একজন তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘বিদায়, মায়া।’

জবাবে মায়া বলেন, ‘বিদায়, ধন্যবাদ আপনাকে।’

এদিকে মায়ার বিদায়ের মুহূর্তটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বিশেষ করে অ্যাক্সে (সাবেক টুইটার) নানা আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। এসব আলোচনায় অনেকে দাবি করেছেন, হামাস যোদ্ধাদের কাছেই থেকে যেতে চাইছিলেন মায়া। মুক্তির মুহূর্তে মায়ার একটি ছবি অ্যাক্সে পোস্ট করে খালিসি নামে এক নারী লিখেছেন—‘তিনি যেতে চাইছেন না।’

খালিসির ওই টুইটটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে। রোববার ১২ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ওই পোস্টটি ১৬ লাখ মানুষ দেখেছেন। পোস্টটিতে লাভ রিয়েক্ট করেছেন ৩১ হাজারের বেশি মানুষ। সাড়ে ছয় হাজারের বেশি শেয়ারের পাশাপাশি এতে কমেন্ট করা মানুষের সংখ্যা এগারো শ ছাড়িয়ে গেছে। বেশির ভাগ মন্তব্য আদি-রসাত্মক। মায়ার আচরণে হামাস যোদ্ধাদের প্রতি ভালোবাসা দেখেছেন অনেকেই।

ইসরায়েলি স্থল হামলার জন্য আমরা প্রস্তুত: হামাস
হামাসের প্রতিষ্ঠার ৩১তম বার্ষিকী উপলক্ষে গাজা শহরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হামাস যোদ্ধাদের দেখা যাচ্ছে। ছবিটি ২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর তোলা

পোস্টটির নিচে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘মনে হচ্ছে, তিনি প্রেমে পড়ে গেছেন।’

মরিয়ম নামে একজন লিখেছেন, ‘ফিলিস্তিনের মানুষেরা সত্যিই দারুণ।’

তবে আরেকজন মন্তব্য করেছেন—হামাসের যোদ্ধারা তাঁকে বোনের মতো যত্ন নিয়েছে।

জাদি আলী নামে একজন লিখেছেন, ‘বাজি ধরে বলতে পারি, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর মুক্তি পাওয়া অনেক জিম্মি আবারও গাজায় আসবেন এখানকার মানুষদের দেখার জন্য। তারা গাজাবাসীর মানবাধিকারের দাবিতে সোচ্চার হবেন।’

এদিকে পোস্টটির সমালোচনা করেছেন ব্রাদার রশিদ নামে এক ব্যক্তি। তিনি কমেন্ট করেছেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই, তিনি বন্দী থাকতে চেয়েছিলেন। তিনি সেই সন্ত্রাসীদের ভালোবেসেছেন যারা তাকে অপহরণ করেছিল এবং স্বজনদের চোখের সামনে হত্যা করেছিল। তিনি তাদের ভালোবেসেছেন যারা তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বন্দুক ধরে পরিবার এবং বন্ধুদের কাছ থেকে দূরে নিয়ে গিয়েছিল।

‘কেন মিথ্যা বলছ? তার সাহায্যের প্রয়োজন ছিল—কারণ তিনি আহত ছিলেন। আর অনুমান করুন-কে তাকে আহত করেছে? সেই সন্ত্রাসীরাই!’

Untitled 1 108 জিম্মি অবস্থায় হামাস যোদ্ধাদের প্রেমে পড়ার গুঞ্জন ইসরায়েলি তরুণীর
জিম্মিদের মুক্তির ছবি লাইভ দেখাচ্ছে মধ্য প্রাচ্যের টিভি চ্যানেলগুলি

ইসরায়েলি গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, ২১ বছর বয়সী মায়াকে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের মরুভূমিতে অনুষ্ঠিত সুপারনোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যাল থেকে অপহরণ করেছিল হামাস যোদ্ধারা। মুক্তির পরপরই পায়ে অস্ত্রোপচারের জন্য তাঁকে ইসরায়েলের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আরও জানা গেছে, মায়াকে মুক্তি দেওয়া হলেও তাঁর ১৮ বছর বয়সী ছোট ভাই এখনো হামাস যোদ্ধাদের কাছে জিম্মি অবস্থায় আছেন। তাঁকে সুপারনোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যাল থেকে অপহরণ করা হয়েছিল।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!