মিয়ানমারে সাম্প্রতিক লড়াইয়ে বাস্তুচ্যুত ২০ লাখ মানুষ

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন
মিয়ানমারের কায়িন রাজ্যে জাতিসংঘের সহায়তা নিচ্ছে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতরা। ছবি জাতিসংঘ

মিয়ানমারে সাম্প্রতিক লড়াইয়ে বাস্তুচ্যুত ২০ লাখ মানুষ

মিয়ানমারে বাড়তে থাকা লড়াই-সংঘাত নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

মিয়ানমার জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে জাতিগত বিদ্রোহী দলগুলোর জোটের হামলার জেরে দুপক্ষের লড়াইয়ের মধ্যে পড়ে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা জাতিসংঘের হিসাবমতে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখে।

মিয়ানমারে সাম্প্রতিক লড়াইয়ে বাস্তুচ্যুত ২০ লাখ মানুষ
কয়েকবছর যাবৎ সেনাবাহিনীর সাথে জান্তা বিরোধীদের লড়াই চলছে। ফাইল ছবি

শান রাজ্যে সেনা এবং পুলিশকে চীন সীমান্ত বরাবর বৃহত্তর এলাকা থেকে হটিয়ে দিতে তিনটি জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর জোটের হামলায় অভাবনীয় সাফল্য মিয়ানমারের আশেপাশের অন্যান্য বিরোধী বাহিনীকে উৎসাহিত করেছে।

শান রাজ্যের দক্ষিণে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সীমান্তবর্তী কায়াহ রাজ্যে জাতিগত কারেনি বিদ্রোহীরা, যারা এরই মধ্যে রাষ্ট্রের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণ করে, তারা প্রধান শহর লোইকাও আক্রমণ করছে এবং এরই মধ্যে শহরের উপকণ্ঠে বিশ্ববিদ্যালয় দখল করেছে।

স্বেচ্ছাসেবী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফএস) শান রাজ্যে সামরিক বাহিনীর পরাজয়ের সুযোগ নিতে তাদের নিজস্ব হামলা শুরু করেছে এবং এভাবে তারা শাসনক্ষমতায় থাকা সামরিক জান্তার ওপর চাপ জিইয়ে রেখেছে।

জাতিগত সশস্ত্র বাহিনীগুলোর তুলনায় পিডিএফএস কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এবং অস্ত্রশস্ত্রও তেমন নেই। তবে তাদের সক্ষমতা বাড়ছে। বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন জাতিগত সেনাদের সঙ্গে তারা সবসময় মিত্রতা রক্ষা করে। এই সেনারা কয়েক দশক ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে লড়ে আসছে।

মিয়ানমারে সাম্প্রতিক লড়াইয়ে বাস্তুচ্যুত ২০ লাখ মানুষ
২০২১ সালে সেনা অভ্যূত্থানের পর ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল যা সহিংসভাবে দমন করে সেনাবাহিনী।

জান্তা সরকার ভারতের সঙ্গে সীমান্তের বেশিরভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণও হারিয়েছে। জাতিগত চিন বিদ্রোহীরা তাদের নিজ রাজ্যে আধিপত্য করছে এবং সম্প্রতি রিখাওদার সীমান্ত শহর দখল করেছে।

Untitled 2 23 মিয়ানমারে সাম্প্রতিক লড়াইয়ে বাস্তুচ্যুত ২০ লাখ মানুষ
ক্ষমতায় যাওয়ার দুই বছর পর ভঙ্গুর অবস্থার মুখে পড়েছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী।

আরও দক্ষিণে আরাকান আর্মি তাদের যুদ্ধবিরতি শেষ করে সেনা ও পুলিশ ফাঁড়িগুলোতে আক্রমণ শুরু করেছে। ওদিকে, মিয়ানমারের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আরেক জাতিগত বাহিনী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নও থাই সীমান্তে সেনা ফাঁড়ির ওপর হামলা জোরদার করছে। সর্বদক্ষিণের রাজ্য তানিনথারিতেও সেনাদের ওপর এখন নিয়মিত বিদ্রোহী হামলা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!