প্লেনের ভেতরে গ্রেনেড বিস্ফোরণে প্রিগোজিনের মৃত্যু, ইঙ্গিত পুতিনের

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন
ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। ফাইল ছবি সংগৃহীত

প্লেনের ভেতরে গ্রেনেড বিস্ফোরণে প্রিগোজিনের মৃত্যু, ইঙ্গিত পুতিনের

প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছিলেন রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। এমনকি প্রিগোজিনের প্লেনে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল বলেও অনেক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। অনেকে আবার এই জল্পনাকে বিশ্বাসযোগ্য বলেও মনে করেন।

তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্লেনের ভেতরে গ্রেনেড বিস্ফোরণে প্রিগোজিনের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা

প্লেনের ভেতরে গ্রেনেড বিস্ফোরণে প্রিগোজিনের মৃত্যু, ইঙ্গিত পুতিনের
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি এপি

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত আগস্টে যে বিমান দুর্ঘটনায় ওয়াগনার ভাড়াটে বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন নিহত হয়েছিলেন, সেটি বিমানের ভেতরে হ্যান্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণের কারণে হয়েছিল বলে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইঙ্গিত দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার পুতিন ইঙ্গিত দেন, প্রিগোজিনের বিমানটি ভেতর থেকে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। গুজবের কাহিনীর মতো কোনও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সেটিকে আঘাত করা হয়নি। তিনি বলেছেন, গত আগস্টে দুর্ঘটনায় নিহতদের দেহে বিস্ফোরকের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে রাশিয়ার তদন্ত কমিটির প্রধান জানিয়েছেন।

রাশিয়ার সোচি শহরে ভালদাই ডিসকাশন ক্লাবের এক সভায় পুতিন বলেন, ‘দুর্ঘটনায় নিহতদের দেহে হাতবোমার টুকরো পাওয়া গেছে। বিমানটিতে কোনও বাহ্যিক ক্ষতির চিহ্ন ছিল না – এটি ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত সত্য।’

তার এই কথার মাধ্যমে মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবিকে মিথ্যা বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ মার্কিন কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, প্রিগোজিনের বহনকারী বিমানটিকে গুলি করা হয়েছিল।

প্লেনের ভেতরে গ্রেনেড বিস্ফোরণে প্রিগোজিনের মৃত্যু, ইঙ্গিত পুতিনের
ওয়াগানার যোদ্ধাদের সঙ্গে ইয়েভগিনি প্রিগোজিন। ছবি রয়টার্স

প্রিগোজিন এক সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বেশ ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন। কিন্তু গত ২৩ জুন তিনি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এমনকি নিজের যোদ্ধাদের নিয়ে মস্কোর দিকে যাত্রাও শুরু করেন তিনি।

ওই ঘটনায় একদিনের ব্যবধানে প্রিগোজিন পুতিনের ‘বন্ধু থেকে শত্রুতে’ পরিণত হন। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর দাবি, পুতিনের নির্দেশেই প্রিগোজিনকে হত্যা করা হয়েছে। যদিও এসব দাবিকে ‘মিথ্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছে মস্কো।

গত আগস্টে ‘এমব্রেয়ার লিগ্যাসি’ নামের ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে করে রাশিয়ার মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে যাচ্ছিলেন প্রিগোজিন। পথে কুঝেনকিনো এলাকায় বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।

প্লেনের ভেতরে গ্রেনেড বিস্ফোরণে প্রিগোজিনের মৃত্যু, ইঙ্গিত পুতিনের
বিদ্রোহের পর রাশিয়া ছেড়েে বেলারুশে যাওয়ার সময় ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন। ফাইল ছবি এপি

উড়োজাহাজে থাকা সাত যাত্রীর মধ্যে ছিল প্রিগোজিন ও ওয়াগনারের আরেক শীর্ষ নেতা দিমিত্রি উতকিন। এছাড়া প্রিগোজিনের চার দেহরক্ষীও সেখানে ছিলেন। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর ১০ আরোহীর সকলেই নিহত হন।

তবে এক্সিকিউটিভ জেটে কীভাবে গ্রেনেড বা গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটানো যেতে পারে সে সম্পর্কে পুতিন আর কোনও তথ্য দেননি। তবে তিনি বলেছেন, দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের শরীরে অ্যালকোহল এবং ড্রাগ পরীক্ষা না করা তদন্তকারীদের ভুল ছিল।

পুতিন বলেন, ‘আমার মতে, এই ধরনের পরীক্ষা করা উচিত ছিল, কিন্তু তা হয়নি।’

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!