ওয়াগনার প্রধান প্রিগোশিনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করলো রাশিয়া

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন
প্রিগোশিনের মৃত্যুর পেছনে ক্রেমলিনের হাত থাকার কথা অস্বীকার করছেন রুশ কর্মকর্তারা।

ওয়াগনার প্রধান প্রিগোশিনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করলো রাশিয়া

রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন রুশ কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন, বিধ্বস্ত বিমানে পাওয়া মরদেহের জেনেটিক বিশ্লেষণ করে তারা এব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন।

একটি তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, এই বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত দশজনের দেহই চিহ্নিত করা গেছে এবং বিমানটির যাত্রী তালিকার সঙ্গে নিহতদের তালিকা মিলে গেছে।

ওয়াগনার প্রধান প্রিগোশিনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করলো রাশিয়া
মস্কোতে ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে তার ছবির সামনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে এক নারী। ছবি রয়টার্স

প্রিগোশিনের ব্যক্তিগত জেট বিমানটি গত ২৫ অগাস্ট মস্কোর উত্তর-পশ্চিমে বিধ্বস্ত হয় এবং এর সব আরোহী মারা যায়।

এই বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে ক্রেমলিনের হাত আছে বলে বলে যে জল্পনা চলছে, তা অস্বীকার করেছেন কর্মকর্তারা। তদন্ত কমিটি জানিয়েছে তারা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

এক বিবৃতিতে কমিটি জানিয়েছে, “মলিকিউলার-জেনেটিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এই পরীক্ষার ফল অনুযায়ী নিহত দশ জনের পরিচয় জানা গেছে এবং ফ্লাইটের যাত্রী তালিকার সঙ্গে তা মিলে গেছে।”

নিহতদের মধ্যে ওয়াগনার গ্রুপের কয়েকজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি আছেন। এই ভাড়াটে বাহিনী প্রতিষ্ঠা করেন প্রিগোশিন। এটি ইউক্রেন, সিরিয়া এবং আফ্রিকার অনেক দেশে সামরিক অভিযানে লিপ্ত।

ওয়াগনার প্রধান প্রিগোশিনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করলো রাশিয়া
ওয়াগানার যোদ্ধাদের সঙ্গে ইয়েভগিনি প্রিগোশিন। ফাইল ছবি রয়টার্স

নিহতদের মধ্যে দিমিত্রি উটকিনও ছিলেন, যিনি ওয়াগনার গ্রুপের সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। বিমানটি মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গে যাচ্ছিল। এটির অন্যান্য যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন ওয়াগনার গ্রুপের ভ্যালেরি চেকালভ, সের্গেই প্রপোসটিন, ইয়েভগেনি মাকারিয়ান, আলেক্সান্ডার টোটমিন এবং নিকোলাই মাটুসেয়েভ।

বিমানটি চালাচ্ছিলেন পাইলট আলেক্সেই লেভশিন এবং কো-পাইলট রুস্তাম করিমভ। ক্রিস্টিনা রাসপোপোভা নামে একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টও তাদের সাথে ছিলেন।

এই বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনাটি ঘটলো প্রিগোশিন রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে ওয়াগনারের এক বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেয়ার পর। এই বিদ্রোহের সময় তার বাহিনী রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রোস্তভ দখল করে নিয়েছিল এবং মস্কোর দিকে অগ্রসর হবে বলে হুমকি দিচ্ছিল।

একটি সমঝোতার পর এই মুখোমুখি অবস্থার অবসান হয়। এরপর প্রিগোশিন এবং ওয়াগনারের যোদ্ধারা বেলারুসে চলে যান।

ওয়াগনার প্রধান প্রিগোশিনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করলো রাশিয়া
প্রিগোশিনের ব্যক্তিগত জেট বিমানটি গত ২৫ অগাস্ট মস্কোর উত্তর-পশ্চিমে বিধ্বস্ত হয় এবং এর সব আরোহী মারা যায়। ছবি রয়টার্স

তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এই বিদ্রোহকে ‘পিঠে ছুরিকাঘাত’ বলে বর্ণনা করেন এবং এরকম জল্পনা চলছিল যে প্রিগোশিনকে বহনকারী বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে রাশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর হাত আছে।

মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে সিবিএস জানিয়েছিল, এই বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার সবচেয়ে সম্ভাব্য কারণ বিমানের ভেতর বিস্ফোরণ এবং প্রিগোশিন সম্ভবত নিহত হয়েছেন।

তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ শুক্রবার বলেছিলেন, এ ঘটনার পেছনে কোন কারসাজির গুজব “একেবারেই ডাহা মিথ্যা।”

মি. পুতিন এই ঘটনায় নিহতদের পরিবারের কাছে তার শোকবার্তা পাঠিয়েছেন।

তবে তিনি প্রিগোশিনকে একজন ‘মেধাবী ব্যক্তি’ বর্ণনা করে বলেন, “তিনি অনেক মারাত্মক ভুল করেছেন।”

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!