ইউক্রেনের বাখমুতের নৃশংস যুদ্ধ (ফটো স্টোরি)

রাসেল হেসেন
রাসেল হেসেন - সাময়িকী স্টাফ
4 মিনিটে পড়ুন
ইউক্রেনীয় সৈন্যরা একটি মাইন রেজিস্ট্যান্ট অ্যাম্বুশ প্রোটেক্টেড (এমআরএপি) গাড়িতে। ৩০ মে বাখমুতের কাছে । ছবি রয়টার্স

ইউক্রেনের বাখমুতের নৃশংস যুদ্ধ (ফটো স্টোরি)

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় হামলা শুরু করে রাশিয়া। এই হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে সংগঠিত সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের সাক্ষী বাখমুত। শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় আট মাস ধরে তুমুল লড়াই চলে। সপ্তাহখানেক আগে শহরটিকে দখলে নেয়ার দাবী করেন ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। যদিও ইউক্রেন শহরটিতে পরাজয়ের কথা স্বীকার করেনি।

ইউক্রেনের বাখমুতের নৃশংস যুদ্ধ (ফটো স্টোরি)
বাখমুতে লড়াইয়ের নিহত অবস্থানে পড়ে থাকা একজন রাশিয়ান সৈন্যের মৃতদেহ দেখছেন একজন ইউক্রেনীয় সৈন্য। ১১ মে । ছবি রেডিও ফ্রি ইউরোপ

বাখমুতের কৌশলগত গুরুত্ব

ইউক্রেনের ভেতরে রুশ বাহিনীর আরও অগ্রসর হওয়া এবং পুতিনের দনবাস স্বাধীন করার লক্ষ্য অর্জনের জন্য রাশিয়ার বাখমুত দখল করা দরকার।

যুদ্ধে উভয় পক্ষ শহরটিকে ব্যাপকভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বাখমুতের কৌশলগত গুরুত্ব ততটা নয়।

বাখমুত আসলে প্রতীকী কারণে উভয় পক্ষের কাছে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। শহরটির দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মাসের পর মাস তুমুল লড়াই চলে এসেছে। টানা লড়াই ও লড়াইয়ের তীব্রতা শহরটির নিয়ন্ত্রণের প্রতীকী গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে।

ইউক্রেনের দিক থেকে এই শহর রক্ষা প্রশ্নে একটা জেদ কাজ করছে। একই সঙ্গে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাদের দৃঢ় প্রতিরোধ যুদ্ধের উদাহরণও এই শহর।

অন্যদিকে চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার এখন একটা জয় দরকার। রুশ বাহিনীর মনোবল বৃদ্ধির জন্য বাখমুতে জয় চায় রাশিয়া।

ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় হামলা শুরুর প্রথম মাসগুলোয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাথমিক অগ্রগতি অর্জন করেছিল রাশিয়া। পরে ইউক্রেনীয় বাহিনী প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ইউক্রেন পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে তাদের বেশ কিছু ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করে। অনেক জায়গায় রুশ বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়।

রুশ বাহিনীর এমন বিপর্যয়ের মুখে গত বছরের শেষ দিকে বাখমুত দখলের লড়াইয়ে নামে ওয়াগনার গ্রুপ। তার পর থেকে বাখমুতে রুশ আক্রমণের সমর্থক হয়ে ওঠে গ্রুপটি। ৮ মাস পর দখলও করে নেয় বাখমুত শহর।

ইউক্রেনের বাখমুতের নৃশংস যুদ্ধ (ফটো স্টোরি)
ইউক্রেনীয় সৈন্যরা বাখমুতে একটি সাঁজোয়া যানের কাছে হেঁটে যাচ্ছে। ২৩ মে। ছবি রয়টার্স
ইউক্রেনের বাখমুতের নৃশংস যুদ্ধ (ফটো স্টোরি)
রুশ হামলায় জ্বলছে বাখমুতের একটি ভবন। ছবি রয়টার্স
ইউক্রেনের বাখমুতের নৃশংস যুদ্ধ (ফটো স্টোরি)
বাখমুতের ফ্রন্টলাইনে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা। ১১ মে। ছবি ছবি রেডিও ফ্রি ইউরোপ
ইউক্রেনের বাখমুতের নৃশংস যুদ্ধ (ফটো স্টোরি)
ইউক্রেনীয় সৈনিকরা যুদ্ধের পর তাদের অবস্থানে বিশ্রাম নিচ্ছেন। ১১ মে । ছবি রেডিও ফ্রি ইউরোপ
ইউক্রেনের বাখমুতের নৃশংস যুদ্ধ (ফটো স্টোরি)
একজন ইউক্রেনীয় সেনা রাশিয়ান অবস্থান নির্বিরভাবে পর্যবেক্ষন করছেন। ১১ মে। ছবি রয়টার্স
ইউক্রেনের বাখমুতের নৃশংস যুদ্ধ (ফটো স্টোরি)
একজন ইউক্রেনীয় সেনা ১৯ মে বাখমুত শহরের ফ্রন্টলাইনের কাছে, BM-21 গ্র্যাড মাল্টিপল লঞ্চ সিস্টেম ও রকেট সহ একটি ট্রাকে দাঁড়িয়ে আছে। ছবি রেডিও ফ্রি ইউরোপ
ইউক্রেনের বাখমুতের নৃশংস যুদ্ধ (ফটো স্টোরি)
ইউক্রেনীয় সৈনিকরা যুদ্ধের পর তাদের অবস্থানে ফিরে এসেছেন ক্লান্ত অবস্থায়।১১ মে। ছবি রেডিও ফ্রি ইউরোপ
ইউক্রেনের বাখমুতের নৃশংস যুদ্ধ (ফটো স্টোরি)
একজন ইউক্রেনীয় সৈন্য বাখমুতের কাছে একজন বন্দী রাশিয়ান সেনা সেনাকে পানি খাওয়াইয়ে দিচ্ছেন।১১ মে। ছবি রেডিও ফ্রি ইউরোপ
ইউক্রেনের বাখমুতের নৃশংস যুদ্ধ (ফটো স্টোরি)
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর পৃথক অ্যাসল্ট ব্রিগেডের একজন ইউক্রেনীয় সেনা ২৩ এপ্রিল বাখমুতে একটি হাউইটজার ডি30 দিয়ে রুশ সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছেন। ছবি রয়টার্স

ইউক্রেনের বাখমুতের নৃশংস যুদ্ধ (ফটো স্টোরি)

ইউক্রেনের বাখমুতের নৃশংস যুদ্ধ (ফটো স্টোরি)
১৫ এপ্রিল বাখমুতের ফ্রন্টলাইনের লড়াই থেকে ফিরে আসার সময় একজন ইউক্রেনীয় সেনাকর্মী তাকিয়ে আছেন। ছবি রয়টার্স
ইউক্রেনের বাখমুতের নৃশংস যুদ্ধ (ফটো স্টোরি)
৯ এপ্রিল ইউক্রেনের বাখমুতের সামনের ফ্রন্টলাইনে লড়াইয়ের পরে একজন মৃত সৈনিকের মৃতদেহ উদ্ধার করছে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা। ছবি রয়টার্স
ইউক্রেনের বাখমুতের নৃশংস যুদ্ধ (ফটো স্টোরি)
৯ এপ্রিল ইউক্রেনের বাখমুতের ফ্রন্টলাইনে লড়াইয়ের পরে নিহত সৈনিকের মৃতদেহ উদ্ধার করেএকটি ট্যাংকের উপর রেখেছেন ইউক্রেনীয় সৈন্যরা। ছবি রয়টার্স
ইউক্রেনের বাখমুতের নৃশংস যুদ্ধ (ফটো স্টোরি)
ইউক্রেনীয় আর্টিলারি দিয়ে বাখমুতের ফ্রন্টলাইনে রুশ সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছেন ইউক্রেনের সেনারা। ছবি রয়টার্স

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
লেখক: রাসেল হেসেন সাময়িকী স্টাফ
অনুসরণ করুন:
সাংবাদিক এবং সাময়িকীর কর্মী
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!