ইউক্রেনের বাখমুতের নৃশংস যুদ্ধ (ফটো স্টোরি)
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় হামলা শুরু করে রাশিয়া। এই হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে সংগঠিত সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের সাক্ষী বাখমুত। শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় আট মাস ধরে তুমুল লড়াই চলে। সপ্তাহখানেক আগে শহরটিকে দখলে নেয়ার দাবী করেন ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। যদিও ইউক্রেন শহরটিতে পরাজয়ের কথা স্বীকার করেনি।
বাখমুতের কৌশলগত গুরুত্ব
ইউক্রেনের ভেতরে রুশ বাহিনীর আরও অগ্রসর হওয়া এবং পুতিনের দনবাস স্বাধীন করার লক্ষ্য অর্জনের জন্য রাশিয়ার বাখমুত দখল করা দরকার।
যুদ্ধে উভয় পক্ষ শহরটিকে ব্যাপকভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বাখমুতের কৌশলগত গুরুত্ব ততটা নয়।
বাখমুত আসলে প্রতীকী কারণে উভয় পক্ষের কাছে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। শহরটির দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মাসের পর মাস তুমুল লড়াই চলে এসেছে। টানা লড়াই ও লড়াইয়ের তীব্রতা শহরটির নিয়ন্ত্রণের প্রতীকী গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে।
ইউক্রেনের দিক থেকে এই শহর রক্ষা প্রশ্নে একটা জেদ কাজ করছে। একই সঙ্গে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাদের দৃঢ় প্রতিরোধ যুদ্ধের উদাহরণও এই শহর।
অন্যদিকে চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার এখন একটা জয় দরকার। রুশ বাহিনীর মনোবল বৃদ্ধির জন্য বাখমুতে জয় চায় রাশিয়া।
ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় হামলা শুরুর প্রথম মাসগুলোয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাথমিক অগ্রগতি অর্জন করেছিল রাশিয়া। পরে ইউক্রেনীয় বাহিনী প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ইউক্রেন পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে তাদের বেশ কিছু ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করে। অনেক জায়গায় রুশ বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়।
রুশ বাহিনীর এমন বিপর্যয়ের মুখে গত বছরের শেষ দিকে বাখমুত দখলের লড়াইয়ে নামে ওয়াগনার গ্রুপ। তার পর থেকে বাখমুতে রুশ আক্রমণের সমর্থক হয়ে ওঠে গ্রুপটি। ৮ মাস পর দখলও করে নেয় বাখমুত শহর।
ইউক্রেনের বাখমুতের নৃশংস যুদ্ধ (ফটো স্টোরি)