কেনিয়ায় ২১টি মরদেহ উদ্ধার
কেনিয়ায় একজন খ্রিস্টান ধর্মগুরু তার অনুসারীদের আমৃত্যু অনশনের নির্দেশ দিয়েছেন – এমন অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ উপকূলীয় মালিন্দি শহরের কাছ থেকে কবর খুঁড়ে ২১টি মরদেহ উদ্ধার করেছে।
এসব মৃতদেহের অনেকগুলোই শিশুদের। পুলিশ ধারণা করছে এমন আরও মরদেহ পাওয়া যাবে। শাকাহোলা নামে একটি জঙ্গলে অগভীর কবরের ভেতর এসব মরদেহ পাওয়া গেছে। সেখান থেকে গত সপ্তাহে গুড নিউজ ইন্টারন্যাশনাল চার্চ নামে একটি খ্রিস্টান উপগোষ্ঠীর ১৫ জনকে উদ্ধার করা হয়।
![কেনিয়ায় ২১টি মরদেহ উদ্ধার 38 কেনিয়ায় ২১টি মরদেহ উদ্ধার](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2022/01/mitru-nihoto.jpg)
পুলিশ ঐ গোষ্ঠীর গুরু পল ম্যাকেঞ্জি এনথেঙ্গেকে আটক করেছে । কেনিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি কেবিসি মি. এনথেঙ্গেকে একজন ধর্মগুরু বলে বর্ণনা করেছে। খবরে বলা হয় অনশনে মৃত্যুবরণের সাথে সম্পর্কিত ৫৮ টি কবর সনাক্ত করা হয়েছে। এসব কবরের একটিতে একই পরিবারের পাঁচজন সদস্য – বাবা-মা এবং তিন সন্তান- থাকতে বলে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মি. ম্যাকেঞ্জি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, কিন্তু আদালত তাকে জামিন দেয়নি। ঐ ব্যক্তি দাবি করেন ২০১৯ সালে তিনি তার গির্জা বন্ধ করে দেন।
এই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে অভিযোগ – তিনি তার অনুসারীদের “খ্রিস্টের সাথে সাক্ষাৎ না হওয়া পর্যন্ত” অভুক্ত থাকতে বলতেন।
![কেনিয়ায় ২১টি মরদেহ উদ্ধার 39 কেনিয়ায় ২১টি মরদেহ উদ্ধার](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2023/04/kenia-police.webp)
কেনিয়ার দৈনিক দি স্ট্যান্ডার্ড লিখেছে উদ্ধার করা মরদেহগুলোর ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করা দেখা হবে যে সত্যিই না খেয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছিল কিনা। জঙ্গলে একটি কবরে পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধারের পর ১৫ই এপ্রিল পুলিশ মি. ম্যাকেঞ্জিকে আটক করে।
মালিন্দি সোশ্যাল জাস্টিস সেন্টার নামে স্থানীয় একটি মানবাধিকার গোষ্ঠীর ভিক্টর কাউডো একটি টিভিকে বলেন, “আমরা জঙ্গলের ভেতর একটি জায়গায় গিয়ে দেখি অনেক লম্বা একটি ক্রস পোঁতা। আমরা বুঝে যাই ঐ কবরে কমপক্ষে পাঁচটি মরদেহ রয়েছে।“
![কেনিয়ায় ২১টি মরদেহ উদ্ধার 40 কেনিয়ায় ২১টি মরদেহ উদ্ধার](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2023/04/2-73.jpg)
দি স্টান্ডার্ডের রিপোর্টে অভিযোগ করা হয় ঐ ধর্মগুরু তিনটি গ্রামের নাম দিয়েছিলেন – নাজারেথ, বেথলেহেম এবং জুদেয়া। তিনি তার অনুসারীদের স্থানীয় একটি পুকুরের পানিতে ‘পূত-পবিত্র’ হয়ে তাদেরকে অনশন শুরুর নির্দেশ দেন।
কেনিয়ায় ধর্মবিশ্বাস খুবই গভীর। এর আগেও বিভিন্ন সময় অনিয়ন্ত্রিত গির্জা এবং ধর্মগুরুদের ফাঁদে পড়ে বিপদগ্রস্ত হওয়ার খবর বেরিয়েছে।
সূত্র বিবিসি বাংলা