ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীর এলাকার জেনিন শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে অন্তত ৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই অভিযানে আহত হয়েছেন আরও ১১ জন। মঙ্গলবার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আহতদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে উল্লেখ করা হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে।
এদিকে, পাল্টা এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, জেনিনের শরণার্থ ক্যাম্পে বর্তমানে অভিযান চালাচ্ছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী এবং তা এখনও চলছে। এর বেশি বিস্তারিত আর কিছু উল্লেখ করেনি সেনাবাহিনী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শরণার্থী শিবিরের কাছে একটি বাড়িকে ঘেরাও করে গোলাবর্ষণ করে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তাতেই ঘটেছে হতাহতের এই ঘটনা।
![পশ্চিম তীরে ৬ ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী 38 পশ্চিম তীরে ৬ ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2023/03/i2-3.jpg)
ইসরায়েলের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অবশ্য জেনিনে হতাহতের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, এক সপ্তাহ আগে অধিকৃত পশ্চিম তীরের হুয়ারা গ্রামে চেক পয়েন্টের কাছে দুই ইসরায়েলি নাগরিককে হত্যার জেরে পরিচালিত হচ্ছে এই অভিযান। জেনিনে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে একজন এই হত্যার সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট বলে জানিয়েছেন তারা।
ঘটনার প্রতিশোধ নিতে ওইদিন রাতেই হুয়ারা গ্রামে হামলা চালায় ইসরায়েলি বসতকারীদের (সেটলার) একটি দল এবং ওই গ্রামে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের শত শত বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়।
![পশ্চিম তীরে ৬ ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী 39 পশ্চিম তীরে ৬ ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2023/02/felesten-1024x569.jpg)
তারপর মঙ্গলবার শুরু হলো ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর এই অভিযান। অভিযান শুরুর আগে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, হুয়ারা ও পার্শ্ববর্তী জেনিন ও নাবালুস শহরের শরণার্থী শিবিরে ‘উল্লেখযোগ্যসংখ্যক দাঙ্গাকারী’ আশ্রয় নিয়েছেন বলে গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়েছেন তারা।