খেরসনে রাশিয়ার হামলায় নিহত ২, বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন পুরো শহর

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন
রুশ হামলয় ক্ষতিগ্রস্থ একটি ভবণ। ছবি রয়টার্স

রুশ বাহিনীর দখল থেকে গত মাসে খেরসন শহরকে পুনরুদ্ধার করেছিল ইউক্রেন বাহিনী। সেই শহরে আবার হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের হামলায় অন্তত দুজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পুরো শহর। ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

আঞ্চলিক গভর্নর বিবিসিকে বলেছেন, ‘বন্দর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর রুশ বাহিনীর ভারী গোলাবর্ষণের ফলে পুরো শহর বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।’

গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করার পর খেরসনের দখল হারানো ছিল মস্কোর কাছে সবচেয়ে বড় ধাক্কা। কয়েক সপ্তাহ ধরে গুরুত্বপূর্ণ এ বন্দরনগরী পুনর্দখলের চেষ্টা করছে রুশ বাহিনী। সম্প্রতি তারা এই শহরে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। শীতের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে যাওয়ায় লাখ লাখ ইউক্রেনীয় সৈন্য বিদ্যুদ্বিহীন অবস্থায় তাদের আবাসস্থল উষ্ণ রাখতে পারছে না।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গতকাল রুশ বাহিনীর ছোড়া শেলগুলো খেরসনের প্রধান প্রশাসনিক ভবন থেকে ১০০ মিটার দূরত্বে পড়েছে। আগের গোলাবর্ষণে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটিতে একদিন পর আবার হামলা হলো।

ইউক্রেনের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রুশ বাহিনীর গোলা হামলার শিকার হয়েছে একটি চিকিৎসাসহায়তা কেন্দ্র। সেখানে ৩২ বছর বয়সী একজন চিকিৎসাকর্মী ও ৭০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভেও বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে রুশ বাহিনী। খারকিভের মেয়র ইগর তেরেখভ বলেছেন, রাশিয়া নির্বিচারে বেসামরিক অবকাঠামোগুলোতে গোলাবর্ষণ করছে। সম্ভব হলে এই অঞ্চলের বাসিন্দারা যেন নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে থাকেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার ভলকার তুর্ক বলেছেন, হামলার কারণে লাখ লাখ ইউক্রেনীয় চরম কষ্টের মধ্যে আছেন। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর ওপর হামলা হওয়ার কারণে মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে এবং অনেক মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে।

এদিকে রুশ অধিকৃত দোনেৎস্ক অঞ্চলের কর্মকর্তারা বলেছেন, ইউক্রেন বাহিনী এই অঞ্চলে সবচেয়ে বাজেভাবে আক্রমণ শুরু করেছে। রাশিয়ার নিয়োগ করা কর্মকর্তা আলেক্সি কুলেমজিন বলেছেন, এ অঞ্চলে অন্তত ৪০টি রকেট ছোড়া হয়েছে। এতে একজন নিহত হয়েছেন এবং আরও ৯ জন আহত হয়েছেন। এর বেশি বিস্তারিত কিছু জানাননি কুলেমজিন। তবে তিনি শহরের ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন।

জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ভলকার তুর্ক বলেছেন, যুদ্ধের কারণে ১ লাখ ৮০ হাজার মানুষ মানবিক সংকটের মধ্যে পড়েছে। তাদের মানবিক সাহায্যের প্রয়োজন। এ সময় তিনি কিয়েভের বাইরে বুচা শহরে গণহত্যাসহ ফেব্রুয়ারি এবং এপ্রিলের মধ্যে রুশ বাহিনীর বেসামরিক লোকদের হত্যার সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গতকাল বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, রাশিয়ার জ্বালানিসন্ত্রাসকে পরাজিত করতে তার সাহায্যের প্রয়োজন।

জেলেনস্কি আরও বলেছেন, গত ছয় মাসে ইউক্রেন বাস্তবিক সাফল্য অর্জন করেছে এবং ইউক্রেন আকাশ সুরক্ষাব্যবস্থা তৈরি করেছে। গত বুধবারও রাজধানী কিয়েভে ১৩টি ড্রোন হামলা হয়েছিল, কিন্তু ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী সেগুলো প্রতিহত করেছে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

বিষয়:
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!