শরণার্থী শিবিরে ৪ জনকে হত্যার দায় স্বীকার করে ভিডিও বার্তা রোহিঙ্গা যুবকের

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন

বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে তিনজন মাঝি (নেতা) ও একজন স্বেচ্ছাসেবককে হত্যার দায় স্বীকার করে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন মো. হাসিম (২১) নামে এক যুবক। তিনি নিজেকে “মাহাজ” নামে একটি ইসলামি সংগঠনের সদস্য বলে দাবি করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি একটি অস্ত্র হাতে নিয়ে নিয়ে চার জনের মধ্যে কাকে কীভাবে হত্যা করা হয় সেই বর্ণনা দেন।

ভিডিওতে তিনি দাবি করেন, তার মতো ২৫ জন যুবককে অস্ত্র দিয়েছে মাহাজ।

ওই ভিডিওতে হাসিম বলেন, “আমাদের মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে হত্যার মিশন বাস্তবায়ন করা হতো। আমাদের মূল কাজ ছিল যারা প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করে, তাদের হত্যা করা। ৫-৬ দিনের মধ্যে আমরা তিন মাঝিসহ এক ভলান্টিয়ারকে হত্যা করেছি।”

হত্যার শিকার চারজনের নামও বলেছেন ওই যুবক। তারা হলেন—উখিয়ার ১৮ নম্বর ক্যাম্পের হেড মাঝি জাফর, ৭ নম্বর ক্যাম্পের ইসমাঈল, কুতুপালং এক্সটেনশন ক্যাম্প-৪ এইচ ব্লকের এরশাদ ও হেডমাঝি আজিমুল্লাহ।

ভিডিও বার্তায় সন্ত্রাসী সংগঠন মাহাজের চার মুখপাত্রের নাম বলেছেন হাসিম। তারা হলেন—জিম্মাদার শাহাব উদ্দিন, রহমত উল্লাহ, হেড মাঝি ভূঁইয়া, মৌলভী রফিক। তারা এই সংগঠনের নেতৃত্বে দিতেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

হাসিম আরও জানান, তাদের সামনে আরও বড় মিশন ছিল। কিন্তু তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন। তাই এই খারাপ জগৎ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চান।

এ বিষয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বরত ৮-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, “ভিডিওতে ওই রোহিঙ্গা যুবক যাদের নাম উল্লেখ করেছেন, তদন্ত সাপেক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্যাম্পের নিরাপত্তার জন্য আমরা সব সময় সজাগ রয়েছি।”

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!