স্বামী খুন করেন স্ত্রীসহ দুই সন্তানকে

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন

নরসিংদীর বেলাবতে দুই সন্তানসহ নিহত রাহিমা বেগমের স্বামী গিয়াস উদ্দিন মিয়াই তাদের ৩ জনকে হত্যা করেছে। রোববার (২২ মে) বিকেলে এই তথ্য নিশ্চিত করেন নরসিংদী পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এনায়েত হোসেন মান্নান।

এর আগে, রোববার (২২ মে) দুপুরে উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের বাবলা গ্রাম থেকে এই মরদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতরা হলো- বাবলা গ্রামের গিয়াস উদ্দিন শেখের স্ত্রী রাহিমা বেগম (৩৬), তার ছেলে রাব্বি শেখ (১২) এবং মেয়ে রাকিবা আক্তার (৭)। রাহিমা বেগম পেশায় একজন দর্জি ছিল। অন্যদিকে তার স্বামী গিয়াস উদ্দিন পেশায় একজন রং মিস্ত্রী কন্ট্রাক্টর।

স্থানীয়রা জানায়, রোববার সকালে বিলবিস বেগম নামে এক নারী তার বানাতে দেয়া কাপড় আনতে যায় বিলকিস বেগমে বাড়িতে। সেখানে গিয়ে দরজার নিচ দিয়ে রক্ত দেখতে পায়। পরে তিনি চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা এসে জড়ো হয়ে ঘরে ঢুকে দর্জি রাহিমা বেগমের মরদেহ দেখতে পায়। পাশের ঘরে পাওয়া যায় তার দুই সন্তান রাব্বি শেখ এবং রাকিবা আক্তারের মরদেহ। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।

মরদেহ উদ্ধারের সময় নিহতের স্বামী গিয়াস উদ্দিন দাবি করেন, তিনি খবর পেয়ে গাজীপুর থেকে এসেছেন। রাতে বাড়িতে ছিলেন না তিনি। পাশের বাড়ির একজনের সাথে তাদের বিরোধ ছিল এবং তারাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এনায়েত হোসেন মান্নান বলেন, নিহতের স্বামী ও দুই সন্তানের বাবা গিয়াস উদ্দিন নিজেই তাদের হত্যা করেছে বলে আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন। গিয়াস উদ্দিন দাবি করছিলেন, তিনি খবর পেয়ে গাজীপুর থেকে এসেছেন। কিন্তু তার ফোন ট্র্যাক করে আমরা জানতে পারি তিনি গাজীপুর নয়, এই অঞ্চলেই ছিলেন। পরে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন। ক্রিকেট খেলার ব্যাট এবং চাকু দিয়ে তাদের আঘাত করেছিলেন বলে জানিয়েছেন আমাদের। কী কারণে তিনি এমনটি করেছেন তার আসল তথ্য জানার চেষ্টা করছি।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!