মারিউপোলের বাসিন্দাদের ভাগ্য এখন পুতিনের হাতে

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন
বেসামরিক হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে। ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী মারিউপোল দখলে নেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। আর এরপরই কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই শহরটির মেয়র বলেছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত মারিউপোলে আটকে থাকা এক লাখ বেসামরিক নাগরিকের ভাগ্য এখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাতে এবং এসব মানুষের সাথে কী ঘটবে তা তিনি (পুতিন) একাই নির্ধারণ করতে পারেন।

তিনি আরও বলেছেন, উপগ্রহ থেকে পাওয়া মারিউপোলের একটি গণকবরের ছবি প্রমাণ করে যে, রাশিয়ার সেনারা নিহতের সংখ্যা লুকাতে মৃতদেহ কবর দিচ্ছে। শুক্রবার (২২ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

এর আগে মারিউপোলকে মুক্ত করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দাবি করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। টানা প্রায় দুই মাস অবরুদ্ধ করে রাখার পর ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় এই বন্দরনগরী দখলের দাবি করেন তিনি। দুই মাসের এই রুশ অবরোধ ও প্রচণ্ড বোমাবর্ষণে শহরে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়। ফলে যেসব বাসিন্দা পালিয়ে যাননি তারা বিদ্যুৎ, গরম বা পানি সংকটে ভোগান্তিতে পড়েন।

বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে মারিউপোলের মেয়র ভাদিম বয়চেঙ্কো বলেন, ‘এটি বুঝতে পারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, মারিউপোল শহরে এখনও আটকে মানুষের ভাগ্য কেবল একজন ব্যক্তির হাতে – ভ্লাদিমির পুতিন। এবং এখন থেকে যে সব মৃত্যুর ঘটনা ঘটবে তাও তার (পুতিনের) হাতে।’

মারিউপোলকে ‘মুক্ত’ করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এর ফলে টানা প্রায় দুই মাসের সামরিক অভিযোনে প্রথম বড় কোনো ইউক্রেনীয় শহর দখলে নিলো রাশিয়া। যদিও চলমান এই ‘বিশেষ সামরিক অভিযানে’ বেসামরিক মানুষজনকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার কথা অস্বীকার করেছে মস্কো।

প্রেসিডেন্ট পুতিনের এই ঘোষণার জবাবে ভাদিম বয়চেঙ্কো বলেন, ‘শহরকে মুক্ত বা স্বাধীন করার কোনো পরিকল্পনাই ছিল না (রুশ সেনাদের)। পরিকল্পনা ছিল কেবল ধ্বংসের।’

তার ধারণা, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এই বন্দর শহরের ৯০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্থ বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

মারিউপোলের মেয়র বলেন, ‘আজ আমাদের কেবল একটি কথাই বলার আছে, আর সেটি হচ্ছে- আমাদের একটি যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর হাতে বন্দি মারিউপোলের এক লাখ বাসিন্দাকে পুরোপুরি বের হওয়ার সুযোগ দিতে এবং আজভস্টাল ইস্পাত কারখানায় থাকা আমাদের সকল মানুষকে মুক্তি দিতে হবে।’

রাশিয়ার সৈন্যরা এখন মারিউপোল শহরের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণ করলেও ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের একটি দল আজভস্টাল স্টিল কমপ্লেক্সের ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে শত শত বেসামরিক নাগরিকের সাথে অবস্থান করছে। প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনীয় এই যোদ্ধাদের উদ্দেশে বলেছেন, হয় অস্ত্র রেখে আত্মসমর্পণ করতে হবে নইলে মরতে হবে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!