কলকাতাকে হারিয়ে চেন্নাইয়ের চতুর্থ শিরোপা জয়

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

আইপিএলের ১৪তম আসরে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ২৭ রানে হারিয়ে আসরটির চতুর্থ শিরোপা ঘরে তুললো চেন্নাই সুপার কিংস। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মহেদ্র সিং ধোনির দলের বিশাল সংগ্রহের পর কলকাতা দুর্দান্ত শুরু পেলেও ব্যাটিং ধসে আশা ভাঙে মরগান-সাকিবদের।

চেন্নাই এনিয়ে সর্বোচ্চ ৯বার আইপিএলের ফাইনাল খেলে ৪ বার শিরোপা জিতে নিল। এর আগে ২০১০, ২০১১ ও ২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সর্বোচ্চ ৫বার শিরোপা জিতে শীর্ষে রয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আর ২বার শিরোপা জেতা কলকাতা তৃতীয় ফাইনাল খেলে হেরে গেল।

শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করা চেন্নাই নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান করে। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানে থামে কলকাতা।

১৯৩ রানের বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে সূচনাটা অসাধারণ হয় কলকাতার। দলের দুই ওপেনার শুভমন গিল ও ভেঙ্কাটেশ আইয়ার ১০.৪ ওভারে ৯১ রান তুলে ভালোই জবাব দিচ্ছিলেন। তবে ফিফটি করা আইয়ার শার্দুল ঠাকুরের বলে রবীন্দ্র জাদেজাকে ক্যাচ দিয়ে ফেরার পরই ব্যাটিং ধস নামে কলকাতা শিবিরে। আইয়ার ৩২ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫০ রান করেন।

চেন্নাই বোলারদের ঘুরে দাঁড়ানোর পর দলীয় ১৭ রানেই ৪ উইকেট হারায় কলকাতা। আরেক ওপেনার গিল দীপক চাহারের বলে এলবির ফাঁদে পড়ে ৫১ রানে থামেন। তিনি ৪৩ বলে ৬টি চারে নিজের ইনিংস সাজান। এরপর দলের অন্য ব্যাটাররা নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারান। শেষদিকে লোকি ফার্গুসন (১৮) ও শিভাম মাভির (২০) কল্যাণে কেবল হারের ব্যবধানই কমায় কলকাতা।

পুরো আইপিএলেই ব্যর্থ কলকাতা অধিনায়ক ইয়ান মরগান ফাইনালে ব্যক্তিগত ৪ রানে বিদায় নেন। আর জাদেজার বলে এলবি হওয়া সাকিব আল হাসান শূন্য রানে মাঠ ছাড়েন।

চেন্নাই বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পান ঠাকুর। জস হ্যাজেলউড ও জাদেজা দুটি করে উইকেট তুলে নেন। এছাড়া চাহার ও ব্রাভো একটি করে উইকেট ভাগ করে নেন।

টস জিতে এদিন প্রতিপক্ষকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠানোই যেন বড় ভুল ছিল কলকাতার। সেই ফায়দাও তুললো চেন্নাইর ব্যাটাররা। উদ্বোধনী জুটিতে রুতুরাজ গায়কড় ও ফাফ ডু প্লেসি ৮.১ ওভারে ৬১ রান তোলেন। সুনীল নারাইনের বলে গায়কড় ২৭ বলে ৩২ রানে ফিরলেও দারুণ এক ইনিংস খেলে দলের শেষ বল অবধি উইকেটে থাকেন ডু প্লেসি। ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ দেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান। মাভির বলে বিদায় নেওয়া এই তারকা ৫৯ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৮৬ করেন।

উইকেটে ঝড় তোলেন রবিন উথাপ্পা ও মঈন আলীও। উথাপ্পা ১৫ বলে ৩টি ছক্কায় ৩১ করে নারাইনের দ্বিতীয় শিকার হন। তবে অপরাজিত থাকা মঈন ২০ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৭ করেন।

কলকাতা বোলারদের মধ্যে সফল বলতে নারাইনই ছিলেন। তিনি ৪ ওভারে ২৬ রানে ২টি উইকেট পান। মাভি তুলে নেন এক উইকেট। আগের তিন ম্যাচে দারুণ বল করা সাকিব এদিন ছিলেন বেল খরুচে। তিনি ৩ ওভারে কোনো উইকেট না পেয়ে ৩৩ রান দেন। ফাইনালে দারুণ ইনিংসের সুবাদে ম্যাচ সেরা হন ফাফ ডু প্লেসি।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!