মোদী বিরোধী আন্দোলন মূলত রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের ছক: মামুনুলের স্বীকারোক্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
3 মিনিটে পড়ুন
মামুনুল হক, ছবি সংগৃহিত

মোদী বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিলেন বলে রিমান্ডের প্রথম দুই দিনে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। গতকাল এক প্রেস বিফ্রিং এ তথ্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশিদ।

রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের জন্যই মোদী বিরোধী আন্দোলন ও দেশব্যাপী তাণ্ডবের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মামুনুল হক। বর্তমান সরকার পতনের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্যই তিনি মোদি বিরোধী আন্দোলনের নামে সরকার পতনের চেষ্টা করেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, ইসলামি রাষ্ট্র কায়েমের স্বপ্ন দেখেছিলেন মামুনুল হক। বর্তমান সরকারের পতনের মাধ্যমে ইসলামই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব বলেই তিনি ওয়াজ মাহফিলে হেফাজত নেতাকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতেন। তিনি নিজেই দায়িত্ব নিয়ে আন্দোলনের নামে সহিংসতায় নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করতেন এবং আন্দোলনে তাদের মাঠে নামাতেন। জামায়াতে ইসলামীর সাথে গভীর সখ্যতা ছিলও মামুনুলের।

মামুনুল হক মনে করেন, বর্তমান সরকারের পতন হলে এবং কাউকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে হলে হেফাজতের সমর্থন লাগবে। আর এই সরকার পতনের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে জামায়াতে ইসলামের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।

মামুনুলকে জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুন-অর-রশিদ বলেন, রিমান্ডে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক। হেফাজতের নেতাকর্মীদের সহিংসতায় সরাসরি উস্কানি দিতেন তিনি। সবশেষ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতার আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে সরকারকে উৎখাত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্য ছিল হেফাজতে ইসলামের। এ হীন উদ্দেশ্যে কওমি মাদ্রাসার কোমলমতি ছাত্রদের উস্কানি দিয়ে মাঠে নামানো হয়েছিলো।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি জেলায় কয়েকদিন ধরে তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলাম। ব্যাপক সহিসংতা চালানো হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। টার্গেট করে হামলা চালনো হয় সরকারি স্থাপনায়। করা হয় অংগ্নিসংযোগ। নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত করে হেফাজত নেতাকর্মীরা। আক্রোশ থেকে বাদ যায়নি গণমাধ্যম কর্মীরা।

সহিংসতার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন জেলায় দেড় শতাধিক মামলা হয়। এর মধ্যে ব্রাহ্মনবাড়িয়া, নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ও চট্টগ্রাম জেলার ২৩টি স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে। নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকার সহিসংতার ঘটনায় মামুনুল হকের সম্পৃক্ততা পেয়েছে সিআইডি।

সিআইডির প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান জানান, আমরা ইতিমধ্যে এ ঘটনার সঙ্গে মামুনুলের সম্পৃক্ততা পেয়েছি। আমরা অপেক্ষা করছি একটা মামলা চলমান আছে। সেটার রিমান্ড চলছে এটা শেষ হলেই আমরা আবার তাকে রিমান্ডে নিয়ে আসব।

সিআইডির তদন্তাধীন মামলাগুলোর মধ্যে বিশেষ ক্ষমতা আইন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনসহ দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা রয়েছে।

সিআইডি প্রধান জানান, নিবিড় তদন্ত এবং প্রযুক্তিগত ও ফরেনসিক প্রমাণের জন্য মামলাগুলো সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে।

সিআইডি প্রধান বলেন, আমাদের ফরেনসিক আছে, সাইবার পুলিশ আছে। যত ধরনের বিশেষজ্ঞ তদন্তের কাজে ব্যবহৃত হয় এইগুলো সবই সিআইডির আছে। এর ফলে আমরা আমাদের কাজগুলো করে বাকি পুলিশেদের সাপোর্ট দিতে পারি।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!