বন্ধুর জানাজা, পেছনে বসে কাঁদছে সুধীর বাবু

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন

একজন মুসলিম আর অন্যজন হিন্দু ধর্মের অনুসারী। কিন্তু ছেলেবেলা থেকেই দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বে কখনোই ধর্ম বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। সুধীর বাবু আর মীর হোসেন সওদাগর এক অপরের বন্ধু।

মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বার্ধক্যজনিত রোগে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান মীর হোসেন। বন্ধুর মৃত্যুর খবরে শোকে কাতর হয়ে পড়েন দীর্ঘদিনের সাথী সুধীর বাবু।

বন্ধুর বিদায়ের বেলায়ও সঙ্গ ছাড়েননি সুধীর বাবু। জানাজার নামাজে অংশ না নিলেও মাঠে এসে উপস্থিত হয়েছেন তিনি। বন্ধু হারানোর বেদনায় সুধীর বাবু নামাজ চলাকালীন পেছনে গাছের গুঁড়িতে বসে চোখের পানি ফেলতে থাকেন। বিষয়টি উপস্থিত সকলের হৃদয় ছুঁয়েছে। হৃদয়-স্পর্শ ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করা হলে মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী বাজারের ব্যবসায়ী মীর হোসেন সওদাগর ও সুধীর বাবু বাল্যকালের বন্ধু। মীর হোসেন সওদাগর মুদি দোকানের ব্যবসা করেছেন দীর্ঘদিন ধরে। সুধীর বাবুও ব্যবসা করতেন একই বাজারে। গত মঙ্গলবার রাতে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান মীর হোসেন। বন্ধুর মৃত্যুর খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শোকে কাতর হয়ে পড়েন দীর্ঘদিনের সাথী সুধীর বাবু।

বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে জানাজা চলাকালীন সুধীর বাবু পেছনে গাছের গুঁড়িতে বসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। জানাজা শেষে উপস্থিত সকলে তার এ অকৃত্রিম ভালোবাসা দেখে অবাক হয়েছেন। তার ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করা হলে মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বন্ধুত্ব এমনই হওয়া উচিত বলে লিখেছেন ফেসবুকে ব্যবহারকারীরা।

অনেকে আবার লিখেছেন, সত্যিকারের বন্ধুত্ব আসলেই এমন হয়। যে বন্ধুত্ব জাত দেখে না। ধর্ম দেখে না। ধনী-গরিবের ভেদাভেদ চেনে না।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
১ টি মন্তব্য

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!