বিএনপির মহাসমাবেশ শেষ হওয়ার পর বরিশাল-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। সেই সাথে ভোলা-বরিশাল রুটে চলছে স্পিডবোট। তবে অভ্যন্তরীণ রুটে এখনো লঞ্চ চলাচল শুরু হয়নি
এদিকে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রবিবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে নথুল্লাবাদ থেকে কোনো দূরপাল্লার বা আন্তঃজেলা বাস ছাড়বে না বলে জানিয়েছেন বরিশাল বাস মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মাশরেক বাবলু।
তবে এরইমধ্যে অনেককে কাউন্টার থেকে পরের দিনের টিকিট সংগ্রহ করতে দেখা গেছে।
মহাসড়কে থ্রি-হুইলার ও অটোরিকশার অবাধ চলাচল বন্ধের দাবিতে শুক্রবার (৪ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া ধর্মঘট শেষে রওবিবার সড়কে এসব যান ফের চলাচল করতে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নদী নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন বলেন, সুন্দরবন-১১, প্রিন্স আওলাদ ও পারাবত-১৮ লঞ্চগুলো রাতে বরিশাল টার্মিনাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।
তবে বরিশাল লঞ্চ মালিক সমিতির সদস্য সাইফুল ইসলাম পিন্টু জানান, এসব লঞ্চে যাত্রীর সংখ্যা কম।
বরিশাল ডিসি ঘাট থেকে স্পিডবোট পরিচালনাকারী মো. তারেক বলেন, বিকাল ৪টার পর ভোলা থেকে নৌকা চলাচল শুরু হলে তারাও বিপুল সংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু করে।
এদিকে বরিশাল-পটুয়াখালী মিনি বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাউসার হোসেন শিপন জানান, রবিবার সকাল ৬টার পর ধর্মঘট বাড়ানো হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তারা বৈঠক করবেন।
বিরোধী দল বিএনপির ডাকা একটি বিভাগীয় সমাবেশের ঠিক একদিন আগে শুক্রবার থেকে বরিশালে সড়ক ও নৌপথে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
শুক্রবার দুদিনের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হওয়ায় সারাদেশের সঙ্গে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বরিশাল। বাস, লঞ্চ, স্পিডবোট, মাইক্রোবাস এমনকি তিন চাকার অটোরিকশাও পাওয়া যায়নি।
মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল বন্ধের দাবিতে বাস মালিকরা ধর্মঘটের ডাক দিলেও থ্রি-হুইলার চালকরা কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের অবাধ চলাচলের অনুমতি দিতে চায়।
বিএনপি’র সরকারবিরোধী বিভাগীয় সমাবেশের আগে পরিবহন ধর্মঘট সম্প্রতি একটি সাধারণ ঘটনা।
খুলনা, ময়মনসিংহ ও রংপুরে বিরোধী দলের সমাবেশের আগে এ ধরনের হরতাল ডাকা হয়। বিএনপির সমাবেশের সঙ্গে পরিবহন ধর্মঘটের কোনো যোগসূত্র অস্বীকার করেছে সরকার।