গাজায় হাসপাতালের কাছে হামাস-ইসরায়েলের তীব্র লড়াই, শিশুদের নিয়ে উদ্বেগ

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন
গাজায় ইসরায়েলি ট্যাংক। ছবি রয়টার্স

গাজায় হাসপাতালের কাছে হামাস-ইসরায়েলের তীব্র লড়াই, শিশুদের নিয়ে উদ্বেগ

গাজার উত্তরাঞ্চলে হাসপাতালগুলোর কাছে তীব্র লড়াই চলছে। সোমবার গাজার প্রধান হাসপাতালের গেটের কাছে পৌঁছে গেছে ইসরায়েলের ট্যাংক

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, লড়াইয়ের কারণে বন্ধ হয়ে আছে আল শিফা হাসপাতালের কার্যক্রম। ফলে হাসপাতালের নিবিড় পরিচার্যা কেন্দ্রে থাকা বাদবাকী ৩৬ জন নবজাতক মারা যেতে পারে বলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

গাজায় হাসপাতালের কাছে হামাস-ইসরায়েলের তীব্র লড়াই, শিশুদের নিয়ে উদ্বেগ
গাজায় ট্যাংক দিয়ে গেলাবর্ষন করছেন ইসরায়েলি সেনারা। ছবি রয়টার্স

বিদ্যুতের অভাবে গত তিন দিনে হাসপাতালটিতে তিন নবজাতকসহ ৩২ জন রোগী মারা গেছে। অপরিণত নবজাতকদের বাঁচাতে মরিয়া হয়ে নানা চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা। শিশুদেরকে ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে গরম পানির কাছেও রাখা হচ্ছে।

ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘ সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, গাজায় তাদের ত্রাণ কার্যক্রম ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে যদি জ্বালানি না থাকে।

সংস্থাটি বলছে, গাজায় জ্বালানি সরবরাহে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইসরায়েল। তবে ইসরায়েল বলছে, তারা আল শিফা হাসপাতালের কার্যক্রম চালাতে দেওয়ার জন্য ৩০০ লিটার জ্বালানি সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে।

বিবিসি জানায়, হাসপাতালের নিচে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার থাকার অভিযোগ করেছে ইসরায়েল। তবে হামাস এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

গাজায় হাসপাতালের কাছে হামাস-ইসরায়েলের তীব্র লড়াই, শিশুদের নিয়ে উদ্বেগ
গাজায় একটি ভবনের মধ্যে একদল ইসরায়েলি সেনা। ছবি রয়টার্স

হাসপাতালের ভেতরে এখনও ৬৫০জন রোগী আছে। রেড ক্রস ও এ ধরনের অন্যান্য সংস্থার সহায়তায় তারা অন্য চিকিৎসা কেন্দ্রে চলে যেতে মরিয়া হয়ে আছে।

হাসপাতালের এক সার্জন ফোনে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, “হাসপাতলের সামনেই ট্যাংক। আমরা পুরোপুরি অবরুদ্ধ। এটি সম্পূর্ণভাবে একটি বেসামরিক এলাকা। কেবল মাত্র হাসপাতাল স্টাফ, রোগী, চিকিৎসক ও অন্যান্য সাধারণ মানুষ হাসপাতালে আছে। কারও উচিত এখানে লড়াই থামানো।

গাজায় হাসপাতালের কাছে হামাস-ইসরায়েলের তীব্র লড়াই, শিশুদের নিয়ে উদ্বেগ
ইসরায়েলি হামলার পর ধোঁয়া উঠছে। ছবি রয়টার্স

“তারা পানির ট্যাংক, কুয়া, এমনকি অক্সিজেন পাম্পের ওপরও বোমা ফেলছে। তারা হাসপাতালের সবকিছুর ওপর বোমা ফেলছে। ফলে আমরা খুব কষ্ট করে বেঁচে থাকছি। আমরা সবাইকেই বলছি, হাসপাতাল এখন আর রোগীর চিকিৎসা করার জন্য নিরাপদ নেই। আমরা রোগীদেরকে এখানে রেখে তাদের ক্ষতিই করছি।”

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!