যুক্তরাষ্ট্র-চীন পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক শুরু , অগ্রগতির আশা কম
যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে চরম উত্তেজনার এক সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন চীনে দু’দিনের এক আলোচনা শুরু করেছেন।
তিনি বেইজিংয়ে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিন গাংয়ের সঙ্গে করমর্দন করেন। বিবিসির একজন সংবাদদাতা, যিনি আমেরিকান প্রতিনিধি দলের সাথে সফর করছেন, তিনি তাদের এই করমর্দনকে “ব্যবসায়ীদের মতো” বলে বর্ণনা করেছেন।
![যুক্তরাষ্ট্র-চীন পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক শুরু , অগ্রগতির আশা কম 38 যুক্তরাষ্ট্র-চীন পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক শুরু , অগ্রগতির আশা কম](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2023/06/Untitled-4-20-1024x589.jpg)
যুক্তরাষ্ট্রে বাইডেন সরকার ক্ষমতায় আসার পর মি. ব্লিঙ্কেনই সবচেয়ে সিনিয়র নেতা যিনি চীন সফর করছেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এই সফরের তাৎক্ষণিক লক্ষ্য হলো দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্থিতিশীল করা। এছাড়া এই দুই নেতার আলোচনার সম্ভাব্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ইউক্রেনের যুদ্ধ, উন্নত কম্পিউটার প্রযুক্তি নিয়ে বাণিজ্য বিরোধ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিল মাদকের মহামারি এবং মানবাধিকার প্রশ্নে চীনের আচরণ।
তবে মি. ব্লিঙ্কেন চীনা নেতা শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।
এই সফরটি আরও পাঁচ মাস আগেই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় একটি সন্দেহভাজন চীনা গুপ্তচর বেলুন উড়ে যাওয়ার পর মি. ব্লিঙ্কেন সফর স্থগিত করেন।
![যুক্তরাষ্ট্র-চীন পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক শুরু , অগ্রগতির আশা কম 39 যুক্তরাষ্ট্র-চীন পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক শুরু , অগ্রগতির আশা কম](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2023/06/Untitled-2-29.jpg)
মি. চিন রোববার আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়াওইউতাই স্টেট গেস্ট হাউসে অভ্যর্থনা জানান। এটি একটি বিলাসবহুল ভবন যেখানে সাধারণত সফরকারী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের থাকতে দেয়া হয়।
এই দু’জন তাদের নিজ নিজ পতাকার সামনে দাঁড়িয়ে করমর্দন করেন, এরপর লম্বা টেবিলে বসে দু’দেশের প্রতিনিধিরা আলোচনা শুরু করেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা মি. ব্লিঙ্কেনের এই সফর থেকে সাফল্যের প্রত্যাশা খাটো করে দেখাচ্ছেন। এবং উভয় পক্ষই স্পষ্ট করে বলেছে যে তারা কোন বড় অগ্রগতির আশা করছেন না।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, বৈঠকের লক্ষ্য হলো যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ আবার চালু করা এবং বেলুনের ঘটনার পর থেকে যে সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে তাকে স্থিতিশীল করা।
![যুক্তরাষ্ট্র-চীন পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক শুরু , অগ্রগতির আশা কম 40 যুক্তরাষ্ট্র-চীন পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক শুরু , অগ্রগতির আশা কম](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2023/06/Untitled-3-23.jpg)
চীন তাইওয়ানের সীমান্তের কাছে সামরিক মহড়া চালিয়েছে। বেইজিং সরকার তাইওয়ানকে চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে মনে করে। কিন্তু তাইওয়ানের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
কিন্তু চীনা কর্মকর্তারা মি. ব্লিঙ্কেনের এই সফর নিয়ে বেশ শীতল প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। তারা প্রশ্ন করছেন, সম্পর্ক সংশোধনের প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র আসলেই আন্তরিক কিনা।
মি. ব্লিঙ্কেন গত শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা আমাদের মতো করে নিশ্চিত করতে চাই যে চীনের সাথে আমাদের যে প্রতিযোগিতাটি যেন সংঘাতের দিকে না যায়। এজন্য আপনি যে জায়গাটি থেকে কাজ শুরু করবেন তা হলো আবার যোগাযোগ চালু করা।“
পরে তিনি বলেছিলেন যে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে তিনি প্রেসিডেন্ট শি’র সাথে দেখা করবেন বলে আশা করছেন।
গত নভেম্বরে বালিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং শি জিনপিংয়ের মধ্যে এক সংক্ষিপ্ত বৈঠকের পর নতুন একটি স্নায়ুযুদ্ধের আশঙ্কা হ্রাস পায়। তবে বেলুনের ঘটনার পর থেকে দুই নেতার মধ্যে যোগাযোগ কমে আসে।