জার্মানির ক্যাথলিক গির্জায় যৌন নিপীড়নে অভিযোগ ধর্মযাজকের বিরুদ্ধে

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলের ক্যাথলিক গির্জায় কমপক্ষে ৬১০ জন অপ্রাপ্ত বয়স্কের যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার তথ্য৷ ধর্মযাজকদের যৌন লালসার শিকার প্রাপ্ত বয়স্কদেরও বিবেচনায় নিলে সংখ্যাটা ছয় হাজার ছাড়াবে৷

জার্মানিতে ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের গির্জায় যৌন নিপীড়নের ঘটনার তথ্য চলতি বছর প্রথম খবরে আসে জানুয়ারি মাসে৷ তখন জানা গিয়েছিল মিউনিখ এলাকার গির্জাগুলোতে অতীতে বহু যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে এবং গির্জা কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি না দিয়ে বরং সত্য চাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে৷ সাবেক পোপ ষোড়শ বেনেডিক্টের বিরুদ্ধেও রয়েছে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ৷১৯৭৭ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত মিউনিখ এবং ফ্রাইজিং অঞ্চলে আর্চবিশপের দায়িত্ব পালন করা পোপ বেনেডিক্ট অবশ্য সে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷

এর আগে ২০১৮ সালের আরেক গবেষণায় জানা যায়, ১৯৪৬ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ক্যাথলিক গির্জায় কমপক্ষে ১৬০০ ধর্মযাজক শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়ন চালিয়েছেন৷ মোট তিন হাজার ছয়শ শিশুর যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার তথ্য বেরিয়ে এসেছিল চার বছর আগের সেই গবেষণায়৷

সোমবার প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ম্যুনস্টারের বিশপের এলাকায় আগে যেমনটি আশঙ্কা করা হয়েছিল যৌন হয়রানি বা যৌন নিপীড়নের ব্যাপকতা তার চেয়ে অনেক বেশি৷ গবেষণাটি করেছেন মিউনিখ বিশ্ববিদল্যালয়ের গবেষকরা৷ ১৯৪৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত, অর্থাৎ মোট ৭৫ বছরের তথ্য সংগ্রহ এবং যাচাই করতে মোট দুই বছর সময় নিয়েছেন গবেষকরা৷

দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কানাঘুষা শোনা গেলেও গির্জায় শিশুদের যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার খবর প্রথম সংবাদমাধ্যমের খবরে এসেছিল ২০০২ সালে৷ সে বছর এ বিষয়ে একটি ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিক দ্য বোস্টন গ্লোব৷

টানা দু বছরের গবেষণা শেষে তারা নিশ্চিত, ওই ৭৫ বছরে জার্মানির ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের উপাসনালয়ে মোট কমপক্ষে ১৯৬ জন যৌননিপীড়ক ধর্মযাজক ছিলেন, তাদের লালসার শিকার হয়েছে কমপক্ষে ৫০০০ থেকে ৬০০০ শিশু৷ যৌননিপীড়িতদের তিন চতুর্থাংশই ছিল ছেলে শিশু৷গবেষণা আরো বলছে, যৌন নিপীড়নের শিকার পাঁচ থেকে ছয় হাজার শিশুর মধ্যে অধিকাংশেরই বয়স ১০ থেকে ১৪-র মধ্যে৷ গির্জা কর্তৃপক্ষ যে যৌন নিপীড়ক ধর্মযাজকদের বিচারের আওতায় আনতে কখনো তৎপর ছিলেন না তা সদ্য প্রকাশিক গবেষণাপত্রের বর্ণনাতেও উঠে এসেছে৷মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, গির্জা কর্তৃপক্ষ যৌন নিপীড়কদের কঠোর শাস্তি দেয়া তো দূরের কথা, তাদের বদলিও করেনি৷

গবেষকরা মনে করেন, যোগ্য নেতৃত্বের ভয়াবহ সংকটের কারণেই ধর্মালয়ে যৌন নিপীড়নের সব ঘটনাই প্রকারান্তরে চাপা দেয়ার চেষ্টা হয়েছে৷ ১৯৪৭ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ম্যুনস্টারের বিশপ এলাকার নেতৃত্বে ছিলেন মিশায়েল কেলার, ইয়োসেফ হ্যোফনার, হাইনরিশ টেনহুমবার্গ এবং রাইনাড লেটমান৷ তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই যৌননিপীড়কদের বিচারের আওতায় না নেয়ার অভিযোগ রয়েছে৷

সূত্র: ডয়চে ভেলে

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!