পাকিস্তানে তিন মাসেও সাধারণ নির্বাচন সম্ভব নয়: ইসিপি

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন
পাকিস্তানের সংসদ। ছবি এপি

আগাম নির্বাচনের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন পাকিস্তানের বিরোধী দলীয় আইনপ্রণেতারা। বিরোধীদের দাবির জেরে ইতোমধ্যে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।

তবে দেশটির নির্বাচন কমিশন ইলেকশন কমিশন অব পাকিস্তান (ইসিপি) জানিয়েছে, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আগামী তিন মাসের মধ্যেও সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া সম্ভব নয় পাকিস্তানে। কমিশনের একজন জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা পাকিস্তানের জাতীয় ডনকে এ সম্পর্কে বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে হলে ইসিপিকে অন্তত ৬ মাস সময় দিতে হবে।

ডনকে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এই ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি আমাদের হতে হবে— সেসব হলো সংসদীয় আসনের পুনর্বিন্যাস। সংবিধানের ২৬তম সংশোধনীর মাধ্যমে খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশে বেশ কিছু আসন বেড়েছে। সেসব এলাকার সীমানা নির্ধারণ ও পুনর্বিন্যাসের কাজ আছে। জেলা ও নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক ভোটার তালিকায় সামঞ্জস্য করাও একটি বড় কাজ।’

‘নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণ একটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। পাকিস্তানের আইনে এ ব্যাপারে শুধু আপত্তি জানানোর জন্যই ১ মাস সময় রাখা হয়েছে।’

- বিজ্ঞাপন -

‘নির্বাচন আপত্তি জানানোর পর তা যাচাই-বাছাইয়ে আরও এক মাস প্রয়োজন; আর এই পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লাগবে কমপক্ষে তিনমাস; তারপর ভোটার তালিকা হালনাগাদের মতো আরেকটি বিশাল কাজ বাকি আছে।’

‘এছাড়া নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয়, ব্যালট পেপার প্রস্তুত করা, ভোটগ্রহণ কর্মীদের নিয়োগ ও তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়াও বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ে।’

ব্যালট পেপার প্রস্তুত করার কাজটিও বেশ সময়সাপেক্ষ বলে উল্লেখ করেন ওই কর্মকর্তা। ডনকে তিনি জানান, আইন অনুযায়ী ওয়াটার মার্ক সম্বলিত ব্যালট পেপার ব্যবহার করতে হবে যা পাকিস্তানে নেই, আমদানি করতে হবে। পাশাপাশি, দরপত্র আহ্বান, আর্থিক ও প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো যাচাইয়ের জন্যও কিছু সময় লাগবে। প্রায় ১ লাখ ভোট কেন্দ্রের জন্য প্রায় দুই মিলিয়ন স্ট্যাম্প প্যাডের প্রয়োজন হবে।

‘এটি কেবল একটি উদাহরণ। কাঁচি এবং বল পয়েন্টসহ বিপুল পরিমাণে অন্যান্য উপকরণও কিনতে হবে।’

এসব ছাড়াও আরও জটিলতা রয়ে গেছে বলে জানিয়ে ওই ইসিপির কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে বেলুচিস্তানে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছি। আগামী ২৯ মে নির্বাচন হবে সেখানে। তারপর পাঞ্জাব, সিন্ধু, বেলুচিস্তানেও স্থানীয় সরকার নির্বচানের শিডিউল রয়েছে।’

- বিজ্ঞাপন -

‘এখন যদি সাধারণ নির্বচনের তফসিল ঘোষণা করতে হয়, সেক্ষেত্রে সব স্থানীয় নির্বাচন আমাদের স্থগিত করতে হবে; আর তা যদি করতে হয়, সেক্ষেত্রে পুরো লেজে-গোবরে পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।’

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

একটি অ্যাকাউন্ট নেই? নিবন্ধন করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!