ভোটের ডিউটির চিঠি হাতে পেয়ে প্রণয় মানসিক আঘাত পেল। আর মাত্র তিনমাসও বাকি নেই তার রিটায়ারমেণ্টের- নিয়মানুসারে নির্বাচন কমিশনার সাধারণতঃ অবসরের ছয়মাসের মধ্যে যাঁরা, তাঁদের ডিউটির চিঠি দেন না।
ফার্স্ট পোলিং অফিসারের ডিউটি পড়ে, এবারও তাই। নতুন সংযোজন- প্রিসাইডিং অফিসার অনুপস্থিত থাকলে সেই দায়ও তার উপরেই বর্তেছে। দু’দিন ট্রেনিং নেওয়ার পর বাকিসব নির্দেশ দেওয়া হবে। হেডমাস্টার কথা দিয়েছিলেন তার যাতে চিঠি না-আসে দেখবেন কিন্তু কিছুই যে দেখেন নি এই চিঠিই তার প্রমাণ।
সে সোজা চলে গেল হেডমাস্টার বিবেক ঘোষের ঘরে। বলল, ‘আসতে পারি?’
– হ্যাঁ এসো। এই দ্যাখো না কত করে ডি আই -কে বললাম প্রণয়কে অন্ততঃ চিঠি দেবছন না কিন্তু কে শোনে কার কথা ! উনি উল্টে প্রশ্ন করে বসলেন, ‘রিটায়ারমেণ্ট তো সেই মে-মাসে! তার আগেই ভোট শেষ হয়ে যাবার কথা।
এবার প্রণয় বলে উঠল, ‘কিন্তু এখনও তো ভোটের দিন ঘোষণাই হয় নি!’
– হ্যাঁ আমি সেকথাই তো বললাম। বলতে উনি বললেন, ‘তাছাড়া আপনাদের পকরণয়বাবু কি এই তিনমাস বেতন নেবেন না! নেবেন তো! তাহলে ভোটে তো যেতেই হবে!’
এবার বলো এক্ষেত্রে আমি কি করবো !
বিবেকবাবু যে কতটা বিবেকবান প্রণয় সেটি বুঝে গেল।
অণুগল্প: বিবেকবান

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া শহরের ব্যাঁটরা থানা এলাকায় পীযূষ কান্তি সরকারের জন্ম ১৩৬৮ সালের ১৩ই বৈশাখ ( ২৭ এপ্রিল ১৯৬১ )। হাওড়ার কদমতলায় সাতপুরুষের ভিটে। বাবা রতন সরকার, মা বেবি সরকার-- উভয়েই প্রয়াত। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং -এ ডিপ্লোমা প্রাপ্ত সাহিত্যিক নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ঞ মিশনের আইটিআই-এর শিক্ষক। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন পত্রিকায় তার লেখা কবিতা,গল্প, নিবন্ধ নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত ২টি কবিতার বই -- 'জীবনের জানলায়' ও 'আলোর কলম' প্রকাশিত হয়েছে।
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন