মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত মানুষের ক্যাম্পে জান্তার হামলায় নিহত ২৯

সাময়িকী ডেস্ক
4 মিনিটে পড়ুন

মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত মানুষের ক্যাম্পে জান্তার হামলায় নিহত ২৯

মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত মানুষের ক্যাম্পে হামলার ঘটনা ঘটেছে। রাতের আঁধারে চালানো এই হামলায় ২৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরাও রয়েছেন।

সোমবার (৯ অক্টোবর) মধ্যরাতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির কাচিন প্রদেশে এই হামলা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) পৃথক দুই প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাউ।

মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত মানুষের ক্যাম্পে জান্তার হামলায় নিহত ২৯
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্যাম্প। ছবি বিবিসি

রয়টার্স বলছে, মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের একটি শিবিরে আর্টিলারি হামলায় অনেক লোক নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় মিডিয়া, একজন কর্মী এবং এলাকার সূত্র মঙ্গলবার জানিয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী, শিশু এবং বৃদ্ধরাও রয়েছেন।

রয়টার্স অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে এসব রিপোর্ট যাচাই করতে পারেনি।

- বিজ্ঞাপন -

কাচিন মিডিয়া এবং স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, সোমবার মধ্যরাতের কাছাকাছি সময়ে হামলার এই ঘটনাটি ঘটে। অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের ওই ক্যাম্পটি কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি (কেআইএ) পরিচালিত একটি সামরিক ক্যাম্প থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কেআইএ মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে।

হামলা ও হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিতকরণের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কেআইএ-এর সাথে যোগাযোগ করা যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এছাড়া এ বিষয়ে জানতে মিয়ানমারের জান্তার মুখপাত্রের সঙ্গেও তাৎক্ষণিকভাবে যোগযোগ করা যায়নি।

মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী জাতীয় ঐক্য সরকারের (এনইউজি) একজন মন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় হামলার প্রতিবেদন এবং ছবি শেয়ার করেছেন। তবে বিষয়টি নিশ্চিতকরণের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি এনইউজি।

মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত মানুষের ক্যাম্পে জান্তার হামলায় নিহত ২৯
নিহতদের মধ্যে নারী, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরাও রয়েছেন। ছবি এক্স

কাচিন পিস নেটওয়ার্ক নামক সিভিল সোসাইটি গ্রুপের সুপরিচিত স্থানীয় কর্মী খোন জা রয়টার্সকে বলেছেন, তিনি স্থানীয় হাসপাতালে গিয়েছিলেন এবং সোমবার রাতের ওই হামলায় ২৯ জন মারা গেছে বলে তাকে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আক্রমণটি মধ্যরাতে হয়েছে। বোমাটি খুব শক্তিশালী ছিল… গ্রামটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এখন পর্যন্ত ২৯ জন নিহত এবং আরও ৫৯ জন আহত হয়েছেন বলে হাসপাতাল নিশ্চিত করেছে।’

- বিজ্ঞাপন -

উত্তর মিয়ানমারের লাইজা শহরটি কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির (কেআইএ) রাজধানী। শহরটি চীনা সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত এবং শহরে ও এর আশপাশে বাস্তুচ্যুতদের শিবিরে বসবাসকারীসহ অনেক বেসামরিক নাগরিক সেখানে বাস করেন।

পৃথক প্রতিবেদনে মিয়ানমার নাউ বলছে, সোমবার মধ্যরাতে উত্তর মিয়ানমারের লাইজায় জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) সদর দপ্তরের কাছে অবস্থিত একটি গ্রামে জান্তা বাহিনীর সন্দেহভাজন ড্রোন হামলায় প্রায় ৩০ অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি (আইডিপি) নিহত হয়েছেন।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, কাচিন প্রদেশের চীন সীমান্তে অবস্থিত লাইজা থেকে প্রায় দুই মাইল দূরে অবস্থিত মন লাই হেকেট গ্রামে রাত ১১ টা ২৫ মিনিটে মিয়ানমার সেনাবাহিনী আক্রমণ শুরু করে। প্রায় ৫০০ বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি ওই ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছিল।

- বিজ্ঞাপন -
মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত মানুষের ক্যাম্পে জান্তার হামলায় নিহত ২৯
হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ স্থানটি। ছবি এক্স

কেআইএর মুখপাত্র কর্নেল নাও বু মিয়ানমার নাওকে বলেছেন, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা পর্যন্ত তারা ২৯ জন নিহত এবং আহত আরও ৫৬ জনকে শনাক্ত করেছেন। আহতদের মধ্যে ৪৪ জনের স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে জরুরি সেবা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু ও বয়স্ক লোকও রয়েছেন।

এছাড়া উদ্ধারকারী দল হামলাস্থলে এখনও আরও মৃতদেহের সন্ধান করছে।

কেআইএ মুখপাত্র বলেছেন, ‘আক্রমণের আগে আমরা কোনও বিমান উড়ে যাওয়ার শব্দ শুনিনি। তাই আমরা সন্দেহ করছি, এটি ড্রোন হামলা হতে পারে। আমাকে বলা হয়েছে- শিবিরে বোমাটি ফেলা হয়েছে।’

কর্নেল নাও বু বলেছেন, হামলার শিকার ওই গ্রামের কাছাকাছি কেআইএ-এর কোনও সামরিক ক্যাম্প নেই এবং সোমবার রাতে মন লাই হেকেটের কাছে কোনও সংঘর্ষও হয়নি।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
মন্তব্য নেই

Log In

Forgot password?

Don't have an account? Register

Forgot password?

Enter your account data and we will send you a link to reset your password.

Your password reset link appears to be invalid or expired.

Log in

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!