একুশে বইমেলা শুরু হচ্ছে ১ ফেব্রুয়ারি

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
4 মিনিটে পড়ুন

মহান রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের স্মৃতিজড়িত ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন ২০২৩ সালের অমর একুশে বইমেলা শুরু করতে যাচ্ছে বাংলা একাডেমি। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে গত দুটি বইমেলা ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুসারে ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন শুরু হতে পারেনি।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) অমর একুশে বইমেলা কমিটির সদস্য সচিব ডক্টর কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, “এ বছর ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলার উদ্বোধন করবেন।”

২০২০ সালে ঢাকার দুইটি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের কারণে ঐতিহ্যবাহী বইমেলা ২রা ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল।

এছাড়া কোভিড-১৯ এর কারণে ২০২১ সালে বইমেলা ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১৮ মার্চ শেষ হয়। ২০২২ সালে মেলা শুরু হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি ও শেষ হয় ১৭ মার্চ। দুই বছরই পয়লা ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা শুরু করা যায়নি।

বাংলা একাডেমির পরিচালক (প্রশাসন, মানবসম্পদ ও পরিকল্পনা বিভাগ) মুজাহিদুল বলেন, “বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চত্বরে এরই মধ্যে প্রায় ৮০% প্রস্তুতিমূলক কাজ সম্পন্ন হয়েছে।”

সরেজমিনে বইমেলায় গিয়ে দেখা যায়, বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে বইমেলার প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে মেলা পরিচালনা কমিটি।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ মেলা প্রাঙ্গণ ও প্রস্তুতির অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।

এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে “পড় বই গড় দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।”

মুজাহিদুল বলেন, “মেলার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হুদার নেতৃত্বে ৩১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “মাসব্যাপী মেলা প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।”

এবারের মেলায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মেলার মূল মঞ্চ হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এবং বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও লেখক মঞ্চ স্থাপন করা হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে।”

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩৬৭টি সাধারণ স্টল, শিশুদের আঙিনায় ৬৯টি স্টল ও ৬৪টি প্যাভিলিয়নসহ ৪৭০টি স্টল থাকবে এবং বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৩টি সাধারণ স্টল ও ১৪৭টি প্যাভিলিয়ন থাকবে।

এবারের বইমেলায় প্যাভিলিয়ন ছাড়া মোট ৭০৪টি স্টল অংশ নেবে।

এছাড়াও মেট্রোরেলের কারণে বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সংলগ্ন ১৮২টি স্টল ও ১১টি প্যাভিলিয়ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কেন্দ্রস্থলে স্থানান্তরিত হয়েছে। সেই স্থানটি ফুড কোর্ট ও অন্যান্য পরিষেবা প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।

বাংলা একাডেমির ঠিক উল্টোদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মন্দির গেটটি বইমেলায় প্রবেশের প্রধান ফটক হবে যেখানে দর্শনার্থীরা ডিজিটাল বোর্ড এবং প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয় স্টল খুঁজে পাবে।

প্রধান ফটকের কাছেই থাকবে শিশু প্রাঙ্গণ, যেখানে সিসিমপুরসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের বিনোদন দেওয়া হবে।

ফুড কোর্ট ছাড়াও মেলা প্রাঙ্গণে নামাজের জায়গা ও পর্যাপ্ত সংখ্যক টয়লেট থাকবে। মেলা প্রাঙ্গণে ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন ক্যামেরা বসানো হয়েছে ও বইমেলাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে।

এবারের বইমেলা শেষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চারটি পুরস্কার দেওয়া হবে।

এর মধ্যে বইয়ের বিষয়বস্তু ও গুণমান বিবেচনা করে ২০২২ সালে প্রকাশিত সর্বাধিক সংখ্যক বইয়ের জন্য “চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার” দেওয়া হবে।

বইয়ের শিল্প বিবেচনায় সেরা বইয়ের জন্য “মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার” এবং শিশুদের ওপর ভিত্তি করে লেখা সেরা বইকে “রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার” দেওয়া হবে।

এবারের বইমেলায় সেরা সাজসজ্জা বিবেচনা করে যারা অংশ নেবে তাদের মধ্য থেকে একটি স্টলকে “শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার” দেওয়া হবে।

সূ্ত্র : বাসস

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!