ভারতীয় সীমান্তে গ্রেপ্তার হলেন বাংলাদেশ পুলিশের ইনস্পেকটর সোহেল রানা

টিএম মিলজার হোসেন
টিএম মিলজার হোসেন
3 মিনিটে পড়ুন
শেখ মো. সোহেল রানা, বনানী থানার পরিদর্শক। ছবি সংগৃহীত।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ। আটককৃত ব্যক্তির নাম শেখ মো. সোহেল রানা এবং তিনি ঢাকা বনানী থানার পুলিশ কর্মকর্তা বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।

দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহল দিয়ে তিনি দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে তিনি ভারতে অনুপ্রবেশ করার সময়ে তাকে আটক করা হয়েছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি এবং বিবরণ দেখে আটক করা ব্যক্তিকে বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানা বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।

জানা গেছে, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিনের আপন ভাই সোহেল রানা। ২০০৭ সালে অনলাইন শপ ইঅরেঞ্জের যাত্রা শুরু করে। সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গ্রাহকরা টাকা নিয়ে সময়মত পণ্য সরবরাহ না করার অভিযোগ করেছেন।

পণ্য ডেলিভারি না দেয়া এবং অগ্রিম অর্থ ফেরত না দেয়ায় ইঅরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান কারাবাস করছেন।

1 4 ভারতীয় সীমান্তে গ্রেপ্তার হলেন বাংলাদেশ পুলিশের ইনস্পেকটর সোহেল রানা
ছবি সংগৃহীত।

বিএসএফ জানিয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা শুক্রবার বিকেলে শেখ মো. সোহেল রানাকে চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করেছে। বিএসএফ তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগ করছে।

বিএসএফ কর্মকর্তারা জানান, গ্রেফতারের পর মি. রানা তাদের জানিয়েছেন যে পুলিশ বিভাগ থেকে সাত দিনের ছুটি নিয়ে তিনি সীমান্তের দিকে রওনা হন। তার গন্তব্য ছিল নেপালের কাঠমান্ডু। সেখানে তার এক বোন থাকেন। বোনের স্বামীর ভারতের শিলিগুড়িতে এসে তাকে নেপালে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। আটক পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে বাংলাদেশ ছাড়াও থাইল্যান্ড এবং ব্রিটেনের একটি ব্যাংকের কার্ড পাওয়া গেছে। তার পাসপোর্টে থাইল্যান্ড, সৌদিআরব, ফ্রান্সি, চীনসহ বিভিন্ন দেশের ভিসা রয়েছে বলে বিএসএফ বলছে।

এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মোঃ. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শেখ সোহেল রানা ভারতে আটক হওয়ার বিষয়টি তারা গণমাধ্যমের সাহায্যে জেনেছেন। তবে ভারত থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন পর্যন্ত জানানো হয়নি। তবে মি. রানা গত বৃহস্পতিবার সর্বশেষ থানায় অফিস করেছেন বলেও জানান তিনি।

উপ-কমিশনার মোঃ. আসাদুজ্জামান আরও জানান, ইঅরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন সোহেল রানার আপন বোন। যেহেতু তার আপন বোন এবং পরিবারের সদস্যরা ইঅরেঞ্জের সাথে জড়িত, সেজন্য আমরা সব বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করছিলাম।

তিনি আরও বলেন, এখানে তার (সোহেল রানা) কোন সম্পৃক্ততা আছে কি না সেটিও আমরাও খতিয়ে দেখছিলাম।

বিএসএফের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোহেল রানাকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হাতে সোপার্দ করা হয়েছে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!