ছানাবড়া
দু’ঘণ্টা কাটিয়ে হোটেলের ঘর থেকে বেরিয়ে প্রেমিক জিজ্ঞেস করল, তোমার কেমন লাগল?
প্রেমিকা বলল, আমার কথা ছাড়ো। তোমার কেমন লাগল বলো?
প্রেমিক বলল, দারুণ দারুণ দারুণ… আমি খুব খুশি।
প্রেমিকা গদগদ হয়ে বলল, এটাই আমার রেকর্ড। এখন পর্যন্ত কেউ কোনও কমপ্লেন করেনি।
শুনেই প্রেমিক মূর্ছা যায় আর কি!
সব চেয়ে ছোট কে
কথা বলতে বলতে আয়ুষ হঠাৎ রেশমীকে জিজ্ঞেস করল, তোরা তিন ভাই বোন, না? তোদের ঘরে সব চেয়ে ছোট কে?
রেশমী বলল, আমার বাবা।
অবাক হয়ে আয়ুষ বলল, বাবা! মানে?
— হ্যাঁ, বাবা এখনও মায়ের সঙ্গে শোয়।
বউয়ের জল ভীতি
অফিসে চা খেতে খেতে আবির তার এক কলিগকে বলল, জানিস, আমার বউ না জলকে ভীষণ ভয় পায়।
কলিগটি জানতে চাইল, কী করে বুঝলি?
আবির বলল, কাল বাড়ি ঢুকে দেখি আমার বউ বাথটবে শুয়ে আছে আমাদের আবাসনের সিকিউরিটি গার্ডকে নিয়ে।
তেল
ভীষণ স্মার্ট। ঝকঝকে চেহারা। তেমনি পোশাক-আশাক। মাথা ভর্তি ফুড়ফুড়ে চুল। তাকে দেখে মজা করে তার প্রেমিক বলল, যে মেয়েরা চুলে জ্যাবজেবে করে তেল দেয়, সেই সব মেয়েদের আমার খুব পছন্দ।
মেয়েটি বলল, আমি তো তাই-ই দিই।
প্রেমিকটি তার মাথার দিকে ভাল করে তাকিয়ে বলল, কোথায়?
মেয়েটি বলল, আমি কি মাথার চুলের কথা বলেছি?
জলের বোতল
দৌড়তে দৌড়তে এসে গলির মুখে জটলা করে আড্ডা মারতে থাকা পাড়ার ছেলেদের শ্রেয়া বলল, চার রাস্তার মোড়ে দু-তিনটে অসভ্য ছেলে আমার পেছনে লেগেছে।
বাকিরা কেউ কিছু বলতে যাওয়ার আগেই ওই জটলা থেকে একটা ছেলে খাবার জলের বোতল এগিয়ে গিয়ে বলল, মুখের মেকআপ ধুয়ে ফেল, কেউ আর তোর পিছনে লাগবে না।
বিশাল
পম্পা আর বিশালের বাড়ি থেকে দেখাশোনা করে বিয়ে হল।
ফুলশয্যার পরের দিনই পম্পা তার স্বামীর কাছে গিয়ে বলল, বিশাল, অনেক হয়েছে। আর নয়। আমি ডিভোর্স চাই।
বিশাল অবাক হয়ে বলল, কিন্তু কেন?
পম্পা বলল, কারণ, তোমার নামটাই শুধু বিশাল।