সুন্দরবন থেকে কমে যাচ্ছে বাঘ

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

বিশ্ব বাঘ দিবস আজ ২৯ জুলাই। বাংলাদেশে ‘বাঘ বাঁচায় সুন্দরবন, সুন্দরবন বাঁচাবে লক্ষ জীবন’ আর বিশ্বে ‘তাদের বেঁচে থাকা আমাদের হাতে’ প্রতিপাদ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালিত হবে।

তবে করোনা পরিস্থিতিতে রয়েল বেঙ্গল টাইগার বা বাঘের অন্যতম আবাসস্থল সুন্দরবন-সংলগ্ন বাগেরহাট ও খুলনায় দিবসটি উপলক্ষে কোনো কর্মসূচি নেই। বন বিভাগের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে আলোচনা সভার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে এই দিবস পালনের কার্যক্রম।

এদিকে জরিপ অনুযায়ী গত চার বছরে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনে সর্বশেষ ২০১৫ সালে বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬টি। ক্যামেরা ট্র্যাকিং পদ্ধতিতে বাঘ জরিপে বাঘের সংখ্যা এখন ১১৪টি। চোরাশিকার বন্ধে স্মার্ট পেট্রোলিং চালুকরণসহ সরকারের নানা উদ্যোগের কারণে বাঘের সংখ্যা বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে সরকারের নানা উদ্যোগেও বিপদমুক্ত হতে পারছিল না সুন্দরবনের বাঘ। সুরক্ষার অভাবে বিপন্ন হয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার। ২০০৪ সালে যেখানে সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা ছিল ৪৪০, সেখানে এখন বাঘ রয়েছে ১১৪টি। দেড় যুগেরও কম সময়ের ব্যবধানে ৩২৬টি বাঘ কমে যাওয়া বা মারা যাওয়াকে উদ্বেগের সঙ্গে দেখা হয়েছে।

বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালের জরিপে সুন্দরবনে বাঘ ছিল ৩৫০টি। ১৯৮২ সালের জরিপে দেখা যায় বাঘের সংখ্যা ৪২৫টি। ১৯৮৪ সালে সুন্দরবনের ১১০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় জরিপ চালিয়ে ৪৩০ থেকে ৪৫০টি বাঘ থাকার কথা জানানো হয়। ২০১৮ সালে করা একটি জরিপের ফলাফলে বর্তমানে সুন্দরবনে বাঘ রয়েছে ১১৪টি। ২০১৫ সালে ‘ক্যামেরা ট্র্যাকিং’ পদ্ধতিতে পরিচালিত জরিপে বাঘের সংখ্যা বলা হয়েছে ১০৬টি।
২০০৪ সালের জরিপের তথ্য অনুযায়ী ৪৪০টি বাঘের মধ্যে খুলনা ও সাতক্ষীরা রেঞ্জ এলাকায় ৮৯টি পুরুষ, ১৭০টি স্ত্রী এবং ১২টি বাঘ শাবক, বাগেরহাটের চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জ এলাকায় ৩২টি পুরুষ, ১২৮টি স্ত্রী এবং ৯টি বাঘ শাবকের অবস্থান জরিপে উল্লেখ করা হয়েছিল।

অর্থ্যাৎ দেড় যুগেরও কম সময়ের ব্যবধানে ৩২৬টি বাঘ কমেছে সুন্দরবনে। আর কয়েক বছরে বেড়েছে মাত্র ৮টি বাঘ। তবে বর্তমানে সুন্দরবনের বাঘের আনাগোনা বাড়ছে। সম্প্রতি সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় বাঘের অবাধ বিচরণ ও প্রতিনিয়ত বাঘের শাবকের দেখা মিলছে বলে জানান সুন্দরবনের জেলে-বাওয়ালিরা।

প্রাণী বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবাদীরা বিভিন্ন সময়ে সুন্দরবনের বাঘের মৃত্যুর জন্য ৯টি কারণ চিহ্নিত করেছেন। এগুলো হচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ (ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস), লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়া, মিঠাপানির অভাব, খাদ্যসংকট, বন ধ্বংস, বাঘের আবাসস্থলের অভাব, চোরাশিকারি, অপরিকল্পিত পর্যটন ও বনের মধ্যে অনিয়ন্ত্রিত যান চলাচল।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!