বর্ষার আগেই যমুনায় তান্ডব
শাহজাদপুরে ৫ ইউনিয়নের ১৩ গ্রাম বিলিনের পথে!

শাহজাদপুর প্রতিনিধি
শাহজাদপুর প্রতিনিধি
3 মিনিটে পড়ুন

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ১৩টি গ্রামে যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গণের তান্ডব শুরু হয়েছে। ইউনিয়ন ৫টি হল, জালালপুর, খুকনি, কৈজুরি, সোনাতনী ও গালা ইউনিয়ন। এ সব ইউনিয়নের ১৩টি গ্রামের শত শত বাড়িঘর ও ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে। ইতোমধ্যেই ১৫টি বাড়িঘর, ৩০বিঘা ফসলি জমি ও অর্ধশত গাছপালা যমুনা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এ ছাড়া অসংখ্য বাড়িঘর ও ফসলি জমি বিলিন হওয়ার পথে।
গত কয়েক দিন ধরে যমুনা, করতোয়া, বড়াল ও হুরাসাগর নদীর পানি বৃদ্ধি শুরু হয়েছে। এর সাথে সাথে এ ভাঙ্গণের তান্ডবও শুরু হয়েছে। গ্রামগুলি হল, খুকনি ইউনিয়নের আরকান্দি, জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর, ঘাটাবাড়ি ও পাকুরতলা, কৈজুরি ইউনিয়নের হাটপাচিল,সোনাতনী ইউনিয়নের পশ্চিম বানতিয়ার,ছোট চানতারা, বড় চানতারা, ধীতপুর, দইকান্দি ও বানিয়া সিঙ্গুলী, গালা ইউনিয়নের আগবাঙ্গলা ও ধলাই।

এ বিষয়ে জালালপুর গ্রামের, দেরাজ মোল্লা, আব্দুল হামিদ, দুলাল শেখ, তয়জাল মোল্লা, আরকান্দি গ্রামের নুরুল ইসলাম ও আলমগীর হোসেন বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ ভাঙ্গণ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে অচিরেই এ সব গ্রাম ও ঘরবাড়ি যমুনা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাবে। মানুষজন সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবে। এ থেকে এলাকাবাসিকে বাচাতে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে জালালপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য মহির উদ্দিন বলেন, এলাকার সব বাড়িঘর ভেঙ্গে শেষ হয়ে যাচ্ছে। মানুষজন ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙ্গণ রোধে ব্যবস্থা না নিলে এ সব গ্রাম শেষ হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে সোনাতনী ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান, খুকনি ইউপি চেয়ারম্যান মুল্লুক চাঁদ, জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ ও গালা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বারবার বলা সত্বেও তারা সময় মত ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ বছরও বর্ষা মৌসুম শুরু না হতেই এ সব গ্রামে ভাঙ্গণ শুরু হয়েছে। বাড়িঘর রক্ষায় এলাকাবাসী দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাই অবিলম্বে ভাঙ্গণরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানান তারা।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো: শামসুজ্জোহা বলেন, অচিরেই ভাঙ্গণ এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন,এ ভাঙ্গণ রোধে স্থানী বাঁধ ও তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে এ সমস্যা আর থাকবে না। একনেকে প্রকল্পটি পাশ হলেই কাজ শুরু করা হবে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!