করারোপের মাধ্যমে সিগারেটসহ সকল তামাকপণ্যের দাম বৃদ্ধির দাবিতে ভার্চুয়াল মানববন্ধন

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন
তামাকপণ্যের দাম বৃদ্ধির দাবিতে ভার্চুয়াল মানববন্ধন। ছবিঃ 'টোব্যাকো ফ্রি উই'

সিগারেটসহ সকল তামাকপণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে দাম বৃদ্ধির দাবিতে দেশব্যাপী ভার্চুয়াল মানববন্ধন করেছে আটটী সংস্থা। পেশার মানুষ।বুধবার (৫ই মে) দুপুর ১২:০০ টায় একযোগে দেশের সকল বিভাগের শতাধিক নাগরিকের অংশগ্রহণে অভিনব এই ভার্চুয়াল মানববন্ধন কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।

মোট আটটি সংস্থা উদ্যোগে বিভিন্ন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এই তামাক বিরোধী ভার্চুয়াল মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে।

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের অবস্থান থেকে ‘তামাকপণ্যে বাড়লে কর / বাঁচবে তরুণ / দেশ হবে স্বনির্ভর’ এবং ‘দাম বাড়ান তামাকের / জীবন বাঁচান আমাদের’ ফেস্টুন হাতে ছবি তুলে তাদের নিজস্ব ফেসবুকে #RaiseTaxSaveLives হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে আপলোড করেন। মানববন্ধন থেকে সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে তামাকপণ্যের দাম তরুণ ও স্বল্প আয়ের মানুষদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে রাখার দাবি জানানো হয়।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত, এমপি বলেন, ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ও সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায়, তামাক নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্তি পেলে অর্থনৈতিকভাবে আমরা আরও বেশি স্বাবলম্বী হতে পারব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্যেও তামাক নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে সকল তামাকপণ্যের উপর সুনির্দিষ্ট কর পদ্ধতি বাস্তবায়ন একটি কার্যকরী পদক্ষেপ হবে।’

বেসরকারি সংস্থা, উন্নয়ন সমন্বয়ের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, তামাকপণ্যে আরও কার্যকর করারোপের মাধ্যমে এসব ক্ষতিকর পণ্যকে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে নিয়ে যেতে হবে। বিশেষত দরিদ্র মানুষ যেন তামাকপণ্য ক্রয় করতে না পারেন তা নিশ্চিত করতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এমন উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলে মাননীয় প্রধামন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গড়ার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন তা অর্জন সম্ভব হবে।

তামাকবিরোধী সংগঠন ঢাকা আহছানিয়া মিশন, ভয়েস, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন, উন্নয়ন সমন্বয়, ডর্প এবং প্রজ্ঞা সম্মিলিতভাবে এই কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করছে। এতে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেছে ‘Tobacco Free We, একটি স্বাধীন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যা তামাকের স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করে।

তামাকবিরোধী সংগঠনগুলোর দাবি, তামাক-কর ও দাম বৃদ্ধি করা হলে প্রায় ১১ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ী ধূমপান ছেড়ে দিতে উৎসাহিত হবে, দীর্ঘমেয়াদে ৩ লক্ষ ৯০ হাজার বর্তমান ধূমপায়ী এবং ৪ লক্ষ তরুণের অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে এবং সিগারেট থেকে সম্পূরক শুল্ক, স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ এবং ভ্যাট বাবদ সরকারের অতিরিক্ত ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হবে। এছাড়াও বিড়ি, জর্দা এবং গুলের মূল্যবৃদ্ধি স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে এসব পণ্যের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করবে এবং এসব খাতে সরকারের রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!