গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৮ হাজার ৮০০ জনে
ইসরায়েলি বাহিনীর গত ৭০ দিনের অভিযানে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিহত হয়েছেন মোট ১৮ হাজার ৮০০ জন ফিলিস্তিনি। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে গাজার সরকারি মিডিয়া কার্যালয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই নিহতদের মধ্যে অন্তত ৮ হাজার শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং ৬ হাজার ২০০ জন নারী রয়েছেন। পাশপাশি আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫১ হাজার মানুষ।
![গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৮ হাজার ৮০০ জনে 38 ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ২০, আল-শিফার পরিচালক গ্রেপ্তার](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2023/11/Untitled-1-102.jpg)
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ১৬ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।
ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। বিশেষ করে বিমান বাহিনীর নিয়মিত গোলা বর্ষণের কারণে উপত্যকার কোনো ভবনই অক্ষত নেই।
হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। পাশপাশি ইসরায়েল থেকে ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যায় যোদ্ধারা।
![গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৮ হাজার ৮০০ জনে 39 ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি শিগগির: ওয়াশিংটন পোস্ট](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2023/11/Untitled-1-80.jpg)
এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৬ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা রয়েছেন; এবং রয়েছেন শিশু, নারী, তরুণ-তরুণী এবং বৃদ্ধ-বৃদ্ধা— সব বয়সী মানুষ।
এই জিম্মিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১১৮ জনকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বাকি ১৩২ জনের মধ্যে এখনও ১১২ জন জীবিত রয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে।
![গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৮ হাজার ৮০০ জনে 40 ইসরায়েলের বিমান হামলায় বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি জিম্মির মৃত্যু](http://www.samoyiki.com/wp-content/uploads/2023/12/gaza-7-1024x586.jpg)
বস্তুত, ১৯৫৩ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার সংঘাত হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি