নাইজারে সামরিক অভিযানে প্রস্তুত পশ্চিম আফ্রিকার ১৫ দেশের জোট ইকোওয়াস

সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন

নাইজারে সামরিক অভিযানে প্রস্তুত পশ্চিম আফ্রিকার ১৫ দেশের জোট ইকোওয়াস

পশ্চিম আফ্রিকার ১৫ দেশের অর্থনৈতিক জোট ইকোওয়াস জানিয়েছে, নাইজারের অভ্যুত্থানকারী জান্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গঠিত স্ট্যান্ডবাই ফোর্সে যোগ দিতে প্রস্তুত আছে বেশিরভাগ সদস্য দেশ। গত ২৬ জুলাই প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে অবরুদ্ধ করে ক্ষমতা দখল করে জান্তা।

ইকোওয়াস যে স্ট্যান্ডবাই ফোর্স তৈরি করতে যাচ্ছে, সেটি অভ্যুত্থানকারী জান্তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সামরিক অভিযানে অংশ নিতে পারে।

naijar
প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে অবরুদ্ধ করে ক্ষমতা দখল করে জান্তা। ছবি বিবিসির একটি ভিডিও থেকে স্কিন শট নেয়া।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ইকোওয়াসের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর প্রতিরক্ষা প্রধানরা ঘানার রাজধানী আক্কারায় বৈঠকে মিলিত হন। সেখান থেকেই এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

ইকোওয়াসের কমিশনার আব্দেল-ফাতাও মুসাহ এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘সামরিক শাসনের বাইরে থাকা এবং কেপ বার্ধে বাদে সব সদস্য দেশ স্ট্যান্ডবাই ফোর্সে যোগ দিতে সম্মত হয়েছে।

- বিজ্ঞাপন -

এই স্ট্যান্ডবাই ফোর্সের নেতৃত্বে থাকবে পশ্চিম আফ্রিকার সবচেয়ে বড় দেশ নাইজেরিয়া। দেশটির সেনাপ্রধান বৃহস্পতিবারের বৈঠক শেষে বলেছেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে এবং এটি প্রতিষ্ঠায় সবাইকে উদ্বুদ্ধ করি। আমাদের জড়ো হওয়ার লক্ষ্য শুধুমাত্র পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য নয়, আমাদের লক্ষ্য হলো শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা।’

সামরিক অভিযান মোকাবিলায় ওয়াগনারের সহায়তা চাইল নাইজারের জান্তা
অভ্যুত্থানের পর নাইজারের রাজধানী নিয়ামিতে কমে গেছে লোকজন। ছবি রয়টার্স

এদিকে ২৬ জুলাই ক্ষমতা দখলের পর— ক্ষমতা ছাড়তে ৬ আগস্ট পর্যন্ত নাইজারের জান্তাকে সময় বেঁধে দিয়েছিল ইকোওয়াস। কিন্তু এই সময়সীমার কোনো তোয়াক্কা করেনি জান্তা। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই প্রেসিডেন্ট বাজোম প্রেসিডেন্ট প্যালেসে অবরুদ্ধ রয়েছেন।

ইকোওয়াস বারবার জানিয়েছে, তারা শেষ উপায় হিসেবে শক্তি প্রয়োগ করবে।

অবশ্য সামরিক অভিযান নিয়ে ইকোয়াসের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি রয়েছে।

নাইজারে সামরিক অভিযান চালানোর পরিকল্পনা থেকে কি সরে এলো ইকোয়াস?
নাইজারের জান্তা সরকার সমর্থকরা রাজধানী নিয়ামেতে একটি ফরাসি সেনা ঘাঁটির সামনে বিক্ষোভ করে। ছবি রয়টার্স

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, নাইজারের প্রতিবেশি ঘানা সামরিক অভিযান নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছে। কারণ নাইজারের সঙ্গে তাদের সামরিকসহ তাদের বিভিন্ন স্বার্থ জড়িত।

- বিজ্ঞাপন -

এছাড়া বর্তমানে সেনা শাসনের অধীনে থাকা মালি ও বুরকিনা ফাসোর জান্তা হুমকি দিয়েছে, যদি নাইজারে কোনো সামরিক অভিযান চালানো হয় তাহলে নাইজারকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে তাদের সেনারা।

সূত্র: আল জাজিরা

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
মন্তব্য নেই

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

একটি অ্যাকাউন্ট নেই? নিবন্ধন করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!