বিশাল এক ঘড়ি ও ইমামবাড়া

ড. সৌমিত্র কুমার চৌধুরী
ড. সৌমিত্র কুমার চৌধুরী
2 মিনিটে পড়ুন

ইমামবাড়া। পশ্চিম বঙ্গের হুগলী জেলায় অবস্থান। শিয়াপন্থী মুসলিম সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান। ইমামবাড়া স্থাপত্যটি পুরনো (১৬৯৪)। পরে নতুন করে তৈরি হয়েছিল (১৮৬১)। বিখ্যাত দানবীর হাজি মহম্মদ মহসিনের স্মৃতিতে হয় পুনর্নির্মাণ। বিশাল গঠন ইমামবাড়ার। এর স্থপতি গণিতবিদ কেরামতুল্লা খান। (গণিতবিদ কেরামতুল্লা খান সম্পর্কে কেউ আলোকপাত করলে খুশী হই)।

স্থাপত্যটি উঁচু এক দোতলা বাড়ি। যে অঙ্গনে স্থাপিত আকারে সেটি ত্রিভুজ। বহু ঝর্ণা আর কৃত্রিম জলাশয় আছে এর মধ্যে।

1 বিশাল এক ঘড়ি ও ইমামবাড়া
বিশাল এক ঘড়ি ও ইমামবাড়া 41

ইমামবাড়ার প্রধান আকর্ষণ উঁচু দু’টি স্তম্ভ (৮৫ মিটার)। স্তম্ভের ভিতর দিয়ে সিঁড়ি ভেঙে ( ১৫২টি) উপরে ওঠতে হয়। সব চাইতে উঁচু তলায় আছে একটি ঘড়ি। ঘড়ির যন্ত্রপাতি, ঘণ্টা সব নিচের তলাগুলোতে। উপরের বিশাল ঘড়ি প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর বেজে চলেছে। বেজেই চলেছে।

লন্ডনের বিগ বেনের পর পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ঘড়ি।

2 বিশাল এক ঘড়ি ও ইমামবাড়া
বিশাল এক ঘড়ি ও ইমামবাড়া 42

ঘড়িতে দম দেওয়ার যে চাবি, তার ওজন ২০ কিলোগ্রাম। দুজন মানুষ চাবি ঘুরিয়ে দম দেন ঘড়িতে। তিনটি ঘন্টা ঘড়ির। মাঝারি ও ছোট ঘন্টা দুটো বাজে পনের মিনিট অন্তর। আর বড় ঘন্টা বাজে এক ঘন্টা পর পর। বড় মিষ্টি শব্দ। ঘড়িটির নির্মাতা ‘মেসার্স ব্ল্যাক অ্যান্ড হ্যারি কোম্পানি’, বিগ বেন, লন্ডন।

3 বিশাল এক ঘড়ি ও ইমামবাড়া
বিশাল এক ঘড়ি ও ইমামবাড়া 43

আরও একটি ঘড়ি ইমামবাড়ার খিড়কির অংশে। গঙ্গা তীরে টিকে আছে। সূর্যঘড়ি। সূর্যের ছায়া দেখেই সময় হিসাব করা যায়। মূল ঘড়িতে পিতলের ফলক ছিল, এখন নেই (চুরি?)। এখন শুধুই পাথরের ফলক। তবে কি, আমি যখন দেখলাম তখন ঘড়িতে বারোটা পাঁচ। সূর্য ঘড়িতেও তাই। অতীতকে তুলে ধরলাম ওআইড অ্যাঙ্গেল লেন্সে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
ড.সৌমিত্র কুমার চৌধুরী, ভূতপূর্ব বিভাগীয় প্রধান ও এমেরিটাস মেডিক্যাল স্যায়েন্টিস্ট, চিত্তরঞ্জন জাতীয় কর্কট রোগ গবেষণা সংস্থাণ, কলকাতা-700 026. প্রকাশিত গ্রন্থ- বিজ্ঞানের জানা অজানা (কিশোর উপযোগী বিজ্ঞান), আমার বাগান (গল্পগ্রন্থ), এবং বিদেশী সংস্থায় গবেষণা গ্রন্থ: Anticancer Drugs-Nature synthesis and cell (Intech)। পুরষ্কার সমূহ: ‘যোগমায়া স্মৃতি পুরস্কার’ (২০১৫), জ্ঞান ও বিজ্ঞান পত্রিকায় বছরের শ্রেষ্ঠ রচনার জন্য। ‘চৌরঙ্গী নাথ’ পুরস্কার (২০১৮), শৈব ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত উপন্যাসের জন্য। গোপাল চন্দ্র ভট্টাচার্য স্মৃতি পুরষ্কার (2019), পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও জৈবপ্রযুক্তি দফতর থেকে), পঁচিশ বছরের অধিক কাল বাংলা ভাষায় জনপ্রিয় বিজ্ঞান রচনার জন্য)।
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!