ফুটবল বিশ্বকাপ: চূড়ান্ত নাটকীয়তা শেষে নকআউটে জাপান-স্পেন

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

কে লিখেছিল ‘ই’ গ্রুপের পাণ্ডুলিপি? শেষ দিনে স্পেন, জার্মানি, জাপান, কোস্টারিকা, চার দলেরই সুযোগ ছিল নকআউটে যাওয়ার। ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলে এই গ্রুপের শেষ দুই ম্যাচ উপহার দিলো কাতার বিশ্বকাপের অবিশ্বাস্য, শ্বাসরুদ্ধকর এক দিনের। যার শেষে কপাল পুড়ল জার্মানির, কোস্টারিকার বিপক্ষে ৪-২ গোলে জিতেও শেষ ষোলোয় যাওয়া হলো না জার্মানদের। ওদিকে জাপানের কাছে ২-১ গোলে হেরেও নকআউটে পা রেখে ফেলল স্পেন।

দুই ম্যাচ শেষে ১ পয়েন্ট পাওয়া জার্মানির সামনে শেষ দিনের সমীকরণটা ছিল নিজেদের জয়, সঙ্গে স্পেনেরও জয়। নিজেদের কাজটা জার্মানি সেরেছে ভালোভাবেই। আল বাইত স্টেডিয়ামে সের্জ গেনাব্রির গোলে এগিয়ে গিয়েছিল শুরুতেই। খালিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে স্পেনও তাদের কাজটা ঠিকঠাকভাবেই সারবে, ধারণাটা করা হচ্ছিল এমনই। আলভারো মোরাতার গোলে যে স্পেনও এগিয়ে গিয়েছিল শুরুতেই! জার্মানি আর স্পেন, দুই দলই বিরতিতে গিয়েছিল ১-০ গোলে এগিয়ে। এভাবেই শেষ বাঁশিটা বাজলে শেষ ষোলোয় যেত স্পেন আর জার্মানি।

দুই দলের খেলা যখন শেষ হলো, জার্মানি হয়তো ভাবছিল, দুই দলের খেলাটা প্রথমার্ধেই শেষ হয়ে গেলে বোধ হয় ভালো হতো! দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে জাপান কোচ হাজিমে মরিয়াসু দুই বদলিতে খেলাটার চেহারাই বদলে দেন। বিরতির পর মাঠে আসা রিতসু দোয়ানের গোলে সমতা ফেরায় জাপান। জার্মানির দুর্দশার শুরু সেখানে। এরপর মিডফিল্ডার আও তানাকার গোলে স্পেনের বিপক্ষে লিডই নিয়ে নেয় ব্লু সামুরাইরা। ৫২ কিলোমিটার দূরে আল বাইত স্টেডিয়ামে জার্মানির বিদায়ের বিউগলও যেন বাজতে শুরু করে তখনই! স্পেন জয় না পেলে যে নিজেদের ম্যাচে কমপক্ষে ৮-০ গোলে জিততে হতো তাদের!

দুই ম্যাচ শেষে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে থেকে শেষ ম্যাচে আসা স্পেনেরও বাদ পড়ার সম্ভাবনা ছিল। নিজেরা যদি জাপানের কাছে হেরে যায়, ওদিকে জার্মানিও যদি হেরে বসে কোস্টারিকার কাছে তাহলে স্পেন আর জার্মানি দুই দলকেই বিদায় নিতে হতো।

নিজেদের ম্যাচে ভালো শুরুর পরও ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল লুইস এনরিকের দল। এর একটু পরে যা ঘটল তা যে দূরতম কল্পনাতেও কেউ আনেননি! ই গ্রুপকে মৃত্যুকূপ বলা হচ্ছিল শুরু থেকেই। তাই বলে সেই মৃতুকূপ থেকে স্পেন-জার্মানি দুই দলই বাদ পড়বে, এমনটা কে-ই বা ধারণা করেছিলেন! ১ গোলে পিছিয়ে থাকা কোস্টারিকা দ্বিতীয়ার্ধে ১২ মিনিট এদিক ওদিকে দুই গোল করে সেই পরিস্থিতিটাই তৈরি করে ফেলেছিল। জার্মানি-স্পেন দুই দলই নিজ নিজ ম্যাচে পিছিয়ে ছিল ২-১ গোলে। এই স্কোরলাইনে দুটো ম্যাচই শেষ হলে বিদায় নিতে হতো দুই ইউরোপিয়ান জায়ান্টকেই।

তবে জার্মানি এরপর ম্যাচে ফিরেছে জার্মানদের মতোই। ৭৩ আর ৮৫ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে আসা কাই হ্যাভার্টজের জোড়া গোলের পর নিকলাস ফুলক্রুগের গোলে জয় তুলে নিয়েছে ৪-২ ব্যবধানে। তাতে তাদের নিজেদের লাভ হয়নি তেমন, হয়েছে স্পেনের, নিজেদের ম্যাচে ২-১ গোলে হেরেও তাই শেষ ষোলোয় পা রাখে লুইস এনরিকের দল, ই গ্রুপের সেরা দল হয়ে নকআউটে পা রাখে এশিয়ার দেশ জাপান। আর জার্মানি ভাসে টানা দুই বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায়ের বিষাদে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!