বিক্ষোভে অংশ নেয়া কিশোরীদের হত্যা করছে ইরানি পুলিশ

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন

নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পরও বদলায়নি বাহিনীটি। উল্টো বিক্ষোভে অংশ নেয়া কিশোরীদের পিটিয়ে হত্যা করছে, নাক কেটে ফেলার মতো বর্বরতাও করছে তারা।

মিররের প্রতিবেদনে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বরাতে বলা হয়েছে, ইরানের নৈতিকতা পুলিশ সদস্যরা দুই কিশোরীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

এর মধ্যে ১৬ বছর বয়সী সারিনা ইসমাইলজাদেহকে লাঠি (ব্যাটন) দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়েছিল। গত সপ্তাহে বিক্ষোভ চলাকালীন নৈতিকতা পুলিশের অফিসাররাই তাকে আঘাত করেন।

আঘাতে তার মাথার খুলি চূর্ণ হয়ে যায় এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই সে মারা যায়।

এদিকে আরেক ১৭ বছর বয়সী কিশোরী বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেয়া নিকা শাকরামি নিখোঁজ ছিলেন। শুরুতে তাকে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করে পুলিশ।

পরে তার মৃতদেহ ফিরিয়ে দিলে দেখা যায় তার নাক কেটে ফেলা হয়েছিল এবং মাথায় ২৯টি আঘাতের চিহ্ন।

এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় অ্যামনেস্টি বলেছে, ‘ইরানি কর্তৃপক্ষ জেনেশুনে এমন মানুষদের ক্ষতি বা হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যারা কয়েক দশকের দমন ও অবিচারের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে রাস্তায় নেমেছে।’

তবে মাহসার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আন্দোলনকে ইরানি কর্তৃপক্ষ ইসরায়েল ও আমেরিকার চক্রান্ত হিসেবে উল্লেখ করেছে।

তবে বাস্তবতা এমনটি নয়।

ইরানে ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের পরই নারীদের জন্য হিজাব বাধ্যতামূলক করা হয়। বাধ্যতামূলক এই পোশাকবিধি মুসলিম নারীসহ ইরানের সব জাতিগোষ্ঠী ও ধর্মের নারীদের জন্য প্রযোজ্য।

একেবারে শুরু থেকেই বিভিন্ন সময়ে পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে ইরানি নারীরা।

হিজাব আইন আরও কঠোরভাবে প্রয়োগের জন্য চলতি বছরের ৫ জুলাই ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি একটি আদেশ জারি করেন। এর মাধ্যমে ‘সঠিক নিয়মে’ পোশাকবিধি অনুসরণ না করা নারীদের সরকারি সব অফিস, ব্যাংক এবং গণপরিবহনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!